editorial

আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম

ব্রোকারেজ হাউজ পরিদর্শনের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বিএসইসি’র

সময়: শনিবার, অক্টোবর ২৬, ২০১৯ ১২:৫২:৫০ অপরাহ্ণ


গত বছর জুনে সমাপ্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। এমতাবস্থায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১৪টি ব্রোকারেজ হাউজ সরেজমিনে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ ধরনের উদ্যোগকে সাহসী ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ডিএসই’র ১৯৩টি ব্রোকারেজ হাউজ তাদের সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে নানা কারণে ৭টি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন বিএসইসি-তে জমা দেয়নি ডিএসই। অবশিষ্ট ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীর ওপর বিএসইসি’র এসআরআই বিভাগ তাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এসআরআই বিভাগের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে- ১৮টি ট্রেকহোল্ডার তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে পরিচালকদের প্রদানকৃত ঋণ, হাতে নগদ এবং জমির জন্য প্রদানকৃত অগ্রিমের টাকা ৪২ কোটি ৪১ লাখ সমন্বয় করেছে। এসব ট্রেকহোল্ডারগণ ডিএসই এর মার্জিন সমন্বয়ের জন্য সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের টাকা ব্যবহার করেছে। ৩টি ট্রেকহোল্ডারের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি রয়েছে। আবার ৩টি ট্রেকহোল্ডার তাদের পরিচালকদের ঋণ প্রদান করেছে।
জানা যায়, ১৬টি ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর রুল ৩ (১) এবং ৩ (২) লঙ্ঘন করেছে। ৫টি ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক প্রোপার্টি সেক্টরে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিনিয়োগ অনেক আগের। তবে যে প্রোপার্টিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে; তা এখনও নিবন্ধন করা হয়নি। ৫টি ট্রেকহোল্ডার তার সিস্টার কনসার্নকে ঋণ প্রদান করেছে। ২৭টি ট্রেকহোল্ডার তার আর্থিক বিবরণী প্রকাশে বিভিন্ন ধরনের ভুল করছে।
জানা যায়, ১৪টি ট্রেকহোল্ডারের পেয়েবল টু ক্লায়েন্টস, আইপিও পেয়েবল, ইনভেস্টমেন্ট ইন ডিলার অ্যাকাউন্টস, ক্রেডিট ফ্যাসেলিটিস টু কাস্টমার্সসহ নানা বিষয়ে সন্দেহজনক। তাই কমিশন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

Share
নিউজটি ২৮২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged