মাছের ব্যবসাই অবলম্বন

ভেস্তে গেছে ইনটেকের রিসোর্ট প্রকল্প

সময়: রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯ ৯:৫২:০২ পূর্বাহ্ণ


নাজমুল ইসলাম ফারুক : দেশে যখন ডিজিটাল বিপ্লব হচ্ছে তখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ইনটেক লিমিটেড। কিন্তু কোম্পানিটি ডিজিটাল বিপ্লবের সহযাত্রী হয়ে বেশি দূর এগুতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনের চেয়ে অন্যান্য প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কোম্পানির উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে- মাছের প্রকল্প এবং রিসোর্ট। ইতোমধ্যেই ভেস্তে গেছে রিসোর্ট, এখন মাছের ব্যবসাই কোম্পানির আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবার সময় কোম্পানির নাম ছিল ইনটেক অনলাইন লিমিটেড। পরবর্তীতে শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়েই মাছের ব্যবসায় শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মাছের ব্যবসায় ভালো মুনাফা করতে পারলেও অনলাইনে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ইনটেক অনলাইন লিমিটেড নাম পরিবর্তন করেছে নতুন নামকরণ করা হয়েছে- ‘ইনটেক লিমিটেড’। এর মধ্যে কোম্পানিটি রিসোর্ট করার জন্য পরিকল্পনা হতে নেয়। এ প্রকল্পটি বেশি দূর এগুতে পারিনি। প্রকল্পটি জমিসংক্রান্ত জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে কোম্পানির নিরীক্ষক মতামত দিয়েছে।
নিরীক্ষক তার মতামতে জানান, ইনটেক রিসোর্ট প্রকল্পটি জমিসংক্রান্ত জটিলতায় শুরু করতে পারেনি। ফলে প্রকল্পটি ভেস্তে গেছে। ইনটেক রিসোর্ট প্রকল্পের বিপরীতে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা নন-কারেন্ট অ্যাসেট হিসাবে কোম্পানিটি তাদের আর্থিক হিসাব বিবরণীতে উল্লেখ করেছে। জমিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে কোম্পানির রেজিস্ট্রি বায়না ফেরত দেয়া হয়েছে। এরপরও রিসোর্টের বিপরীতে নন-কারেন্ট অ্যাসেট হিসাবে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেখানো সন্দেহজনক। কোম্পানির এ অর্থ জমি ক্রয় ও উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত। তবে রিসোর্টের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান নিরীক্ষক। এদিকে, বিলম্বিত কর গণনা এবং বিদ্যমান করের প্রভিশনের বিষয়টি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড ইনটেক লিমিটেড মানেনি বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।
ইনটেক অনলাইনের রিসোর্ট প্রকল্প ভেস্তে যাবার বিষয়ে মতামত জানার জন্য কোম্পানি সচিব মো. মহিবুল ইসলামের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯ প্রান্তিকে কোম্পানির মোট আয়ের মধ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস থেকে এসেছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, সফটওয়ার থেকে ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, এমাজন ওয়েব সার্ভিস থেকে ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং মাছের ইউনিট থেকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে। আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মাছের ইউনিট।
পুঁজিবাজারে ২০০২ সালে তালিকাভুক্ত ইনটেক লিমিটেড ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১২০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৯১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged