মার্চেন্ট ও ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগ করবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক

সময়: বুধবার, আগস্ট ১৬, ২০২৩ ৫:৫১:৪৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : গত সোমবার অনুষ্ঠিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ডের সভায় সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি ব্রোকারেজ হাউজ ও একটি পূর্ণাঙ্গ মার্চেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বোর্ডে ১০ ব্যাংকের সমন্বয়ে কনসোর্টিয়াম বা জোট গঠনের মাধ্যমে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে কনসোর্টিয়াম সদস্য হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এ ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ডিজিটাল ব্যাংকটিতে মোট সাড়ে ৪৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাবে একই দিনে বোর্ড সদস্যদের অনুমোদনও নিয়েছে ব্যাংকটি। এক মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে এসব বিষয় জানিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি।

তথ্যানুসারে, ব্যাংকের বোর্ডে ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড’ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউজ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এ ব্রোকারেজ হাউজে স্টক ডিলার ও স্টক ব্রোকার সুবিধা থাকবে। সম্পূর্ণ মালিকানাধীন প্রস্তাবিত ব্রোকারেজ হাউজটির পরিশোধিত মূলধন হবে ১০ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটির পর্ষদে ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’ নামের একটি পূর্ণাঙ্গ মার্চেন্ট ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। সম্পূর্ণ মালিকানাধীন প্রস্তাবিত এ মার্চেন্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হবে ২৫ কোটি টাকা। এ ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গঠনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চাইবে ব্যাংকটি।

এদিকে একই বোর্ড সভায় ১০ ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সদস্য হয়ে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি ডিজিটাল স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এ ব্যাংকের মোট পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বা মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের মালিকানায় থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইবে ব্যাংকটি।

‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’ নামের ডিজিটাল ব্যাংকটি গঠনে কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্যরা হলো দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড।

এর মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকসহ ৮ ব্যাংকের বোর্ডে এ কনসোর্টিয়ামের সদস্য হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে বলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে জানানো হয়েছে।

নিয়মানুসারে, তালিকাভুক্ত ব্যাংক হওয়ায় ট্রাস্ট ব্যাংক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলে তা মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে ও স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে জানানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু এ প্রস্তাব ব্যাংক দুটির বোর্ডে অনুমোদন হয়েছে কিনা তা এখনো জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের আবেদনের প্রসেসিং ফি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাওয়ার ৫ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকগুলোকে জনসমক্ষে আসতে হবে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কাউন্টারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কোনো সেবা দিতে পারবে না এবং কোনো ফিজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টও ইস্যু করতে পারবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বিধিমালা অনুসারে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দেখাতে হবে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে অর্থাৎ আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে উত্থাপিত মূলধনের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে কম হলে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আর মূলধন আসতে হবে অবশ্যই উদ্যোক্তাদের থেকে। এক্ষেত্রে প্রতি উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার শেয়ার মালিকানা নিতে হবে।

সর্বশেষ ঋণমান অনুসারে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত ব্যাংকটির অন্যান্য গুনগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ ক্যাশ ও সাড়ে ৭ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড রয়েছে। আপনারা ফি দিয়ে দিন। আমি পেমেন্ট জমা হওয়ার পর পাঠিয়ে দেবো আপনাদের পাওনা ফি। অথবা আমার পেমেন্ট থেকে ফি কেটে রেখে দিন।

আলোচ্য অর্থবছরে ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা, এর আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫৫৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। আলোচ্য অর্থবছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৪ পয়সা, এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৭ টাকা ৯৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৮৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৩ টাকা ১৩ পয়সায়। আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, আমার পেমেন্ট স্ক্রিল আকাউন্টে পাঠাতে। কিন্ত আপনি তা করেননি।
আমি আপনাদের আরো প্রযেক্ট করবো। তখন তো কেটে রেখে দিতে পারবেন। আপনারা যদি আমার পেমেন্ট না পাঠাতে পারেন, তবে আমি কিভাবে ফি পাঠাবো? ফি’র বিষয়টি আগেই বলা উচিত ছিল।ব্যাংক শুধু কি আপনাদের সুবিধা দেয়? তাহলে পেমেন্ট দেয়ার জন্য ব্যাংক জেনারেট করছেনা কেন?

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৭.৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৭.৫০ ক্যাশ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

 

Share
নিউজটি ১১২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged