নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ফাস ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকাসহ নানা অনিয়মের প্রেক্ষিতে কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে একটি আদেশ জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার (৩১ মে) এ বিষয়ে জারি করা আদেশে কোম্পানিটির পর্ষদে ৫ জন স্বতন্ত্র সদস্য মনোনয়নের কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে থাকবেন ২ জন সদস্য।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পুনর্গঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে সাবেক ব্যাংকার, এনসিসি ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিনকে। পর্ষদের স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খান, অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে থাকা সেনা কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, ঋণমান যাচাইকারী সংস্থা ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরআইএসএল) উপপ্রধান নির্বাহী সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিম।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় থাকা পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল ও রেপটাইলস ফার্মস ১ জন করে ২ জন প্রতিনিধি দিতে পারবে নতুন পর্ষদে।
বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) নিয়ন্ত্রণাধীন এফএএস ফাইন্যান্সের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। পি কে হালদার ২০১৪-১৫ সালের দিকে নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠানটির দখল নেন। দখলে নেওয়ার পর ২০১৫-১৭ সালের মধ্যে বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকার সুবিধাভোগী পি কে হালদার একাই, যে টাকা আর ফেরত আসছে না।
পিকে হালদার গত বছর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার ব্যবসায়িক অংশীদার ও নানা অপকর্মের দোসর জাহাঙ্গীর আলম এতদিন কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। সব পর্ষদ সদস্যও ছিলেন তার মনোনীত।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান