মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ : কমবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা

সময়: বুধবার, জুলাই ৩১, ২০১৯ ৬:২০:২৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতোটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। আজকের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হতে পারে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরের জন্য ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ ধরে ২০১৯-’২০ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতে পারে। যা চলতি বছরের প্রথমার্ধের ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড় শতাংশ কম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময় বেসরকারি খাতে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মূলত মুদ্রানীতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাক্সিক্ষত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ঋণ প্রবৃদ্ধির একটি আগাম ধারণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিবছর দুবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। ছয়মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হয়। তবে গুঞ্জন রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজেটের মতো এক বছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করার সিদ্ধান্তেও যেতে পারে। তবে তা ঘোষণার দিনই স্পষ্ট হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জন করার জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ থেকে ১৫ শতাংশই অর্জন হলেই যথেষ্ট। কারণ ২০১৮-’১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১১ শতাংশের মতো হলেও জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়াও নতুন মুদ্রানীতিতে নগদ জমা সংরক্ষণ হারে (সিআরআর) কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।
মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদহার, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি প্রাক্কলন করা হয়। সরকার ২০১৯-’২০ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এদিকে মুদ্রানীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী, উপদেষ্টা, গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের মতামত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও অর্জিত হয় ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণ গেছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। আগের বছরের জুন শেষে যা ছিল ৯ লাখ ৭ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক কোনো বছরে এতো কম হারে ঋণ বাড়েনি।
দৈনিক শেয়ারবাজার /এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৩০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged