যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কো

সময়: বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২০ ৭:৫১:২৩ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের শিল্প, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখার অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশ-বিদেশে গ্রহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিবার্ষিক অ্যানিভার্সারি প্রোগ্রাম’র আওতায় ইউনেস্কো কোনো বিশেষ ঘটনা বা বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মের ৫০তম বা তদূর্ধ্ব অর্থাৎ ১০০তম, ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে। এই প্রোগ্রামের আওতায় ইউনেস্কো ২০২০-২০২১ সালের জন্য ৫৯টি অ্যানিভার্সারি উদযাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক কোনো বিশেষ ঘটনা বা কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী পালনের অন্যতম শর্ত হলো ইউনেস্কোর ম্যানেন্ডভুক্ত বিষয়সমূহ শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বাকস্বাধীনতার সমুন্নতকরণে ওই ঘটনার বা ওই ব্যক্তির বিশেষ অবদান থাকা। কোনো দেশ এ বিষয়ে আবেদন করলে পরে সাধারণ সভায় গৃহীত হলে তা ইউনেস্কো কর্তৃক উদযাপিত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি আমার সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তাব উত্থাপন করে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথভাবে উদযাপনের প্রস্তাবটি ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৪০তম অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এরপর গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় ৪০তম অধিবেশনের প্রোগ্রাম এবং বাজেট সম্পর্কিত কমিশন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে প্লেনারি সেশনে তা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged