স্ব-শাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ যাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

সময়: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯ ১১:৩০:০৭ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজে লাগাতে একটি আইন করছে সরকার। ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন ফিন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০১৯’ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই আইন পাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পরিচালনা ব্যয় মিটিয়ে রয়ে যাওয়া উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারকে ফেরত দিতে হবে। অর্থ উদ্বৃত্ত রয়েছে এরকম ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের নামও ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত করেছে সরকার।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাষ্ট্রের স্বশাসিত সংস্থাগুলোর আর্থিক স্থিতির পরিমাণ বর্তমানে দুই লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই টাকাগুলো কোনো ভালো কাজে ইনভেস্ট হচ্ছে না। এজন্য সরকারের পলিসি হলো, নতুন আইনের মাধ্যমে কিছু প্রভিশন রেখে বাকি টাকাটা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসা। আমাদের অনেক প্রজেক্ট আছে, জনকল্যাণমূলক কাজ, যেগুলো আর্থিক সংকটের কারণে ফাইন্যান্স করা যায় না, সেটাকে …।

খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব সংস্থা চালাতে যে খরচ হয় এবং নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরে যে অর্থ লাগে, তা তাদের নিজস্ব তহবিলে জমা রাখা হবে।
তাছাড়া আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিচলন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ অর্থ এসব সংস্থা সংরক্ষণ করতে পারবে। ওই সংস্থার কর্মীদের পেনশন বা প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থও তারা সংরক্ষণ করবে।
তিনি বলেন, এরপর যে অর্থ বাকি থাকবে, সেটা সরকারের কোষাগারে জমা দেবে। অর্থাৎ উনাদের বিপদে ফেলা হবে না, উনাদের প্রয়োজনীয় অর্থ রেখে বাকি অর্থটা দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। এদের (৬৮টি প্রতিষ্ঠানের) উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ দুই লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যা এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রেখেছে। নতুন আইন পাস হলে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ব্যয় মিটিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকবে সেই টাকার ২৫ শতাংশ রেখে বাকি টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিয়ে দিতে হবে।’

তিনি জানান, শীর্ষ ২৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ-২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা), পেট্রোবাংলা (১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা), রাজধানী উন্নয়ন করপোরেশন বা রাজউকের (চার হাজার ৩০ কোটি টাকা), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (দুই হাজার ২৩২ কোটি টাকা) রয়েছে। এর বাইরেও আছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

দ্য ভিশন২৪/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged