নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অনেক বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা কাজ করেছি, যেগুলো বাজারে ব্যাপক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। ক্রমাগত ছোট থেকে বড় উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হ্যালো- অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা, ডিজিটাল বুথ স্থাপন, ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি।
সোমবার (০৮ মার্চ) আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে ইস্যু ম্যানেজারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোল অব ইস্যু ম্যানেজারস আইপিও অ্যাপ্লিকেশন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো: ছায়েদুর রহমান। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিনিয়োগকারী ছাড়া আর যারা আছে, তারা যদি কোন ভুল করে থাকে, সেটার জন্য তারা কোন না কোন ভাবে দায়ী। বিনিয়োগকারীদের আমি দায়ী করতে প্রস্তুত নই। বিনিয়োগকারীরা আমাদের কথা বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে। আপনাদের (ইসু ম্যানেজার) কথায় বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে। আপনার (ইসু ম্যানেজার) যা কিছু বলেন, সে কথাটা আমরা (বিএসইসি) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করার চেষ্টা করি। সে কথার উপর বিশ্বাস করে আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা সুদৃঢ় হয় তখনই, যখন আপনারা আপনাদের ডিউ ডিলিজেন্স যথাযথভাবে পরিপালন করেন।’
তিনি বলেন, তিনি আরো বলেন, ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানিগুলোকে পুনঃগঠন করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই কোন কোম্পানি যেন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে বসে না থাকে। শেয়ারবাজারে যেসব কোম্পানি আসবে তাদেরকে কাজ করতে হবে। তারা যে লক্ষ্য নিয়ে শেয়ারবাজারে এসেছে, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিতে যে লক্ষ্য নিয়ে অর্থ সঞ্চালন করেছে, তাদের লভ্যাংশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান