৩৪ কোটি টাকার মনোস্পুলে ৭৫ কোটি টাকা গরমিল

সময়: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ ১২:১৮:৫০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানি বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ার নিয়ে কারসাজি অনেক আগে থেকেই। যার নেতৃত্বে কোম্পানিটির পরিচালকরা রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে কারসাজির সুযোগ নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ কোম্পানিটির নিরীক্ষিক। যেখানে ৩৪ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ৭৫ কোটি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে।

এর আগে নন-পারফরমেন্সের কারণে দীর্ঘদিন ওভার দ্য মার্কেটে (ওটিসি) পড়ে ছিল মাগুরা গ্রুপের বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। ২০২১ সালের ১৩ জুন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়। এরপর শেয়ারটি নিয়ে শুরু হয় কারসাজি। যাতে করে অস্বাভাবিক হারে বাড়ে শেয়ার দর।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মনোস্পুল পেপার কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। কিন্তু নিরীক্ষক সরেজমিনে সত্যতা যাচাইয়ে গিয়ে মজুদ পণ্যের সঠিক রেকর্ড এর তথ্য পাননি। যাতে করে নিরীক্ষক কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেখানো মজুদ পণ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি।

নিরীক্ষক আরও জানিয়েছেন, মনোস্পুল পেপার কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৪৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখিয়েছে। যা যাচাইয়ে গিয়ে নিরীক্ষক ওইসব সম্পদের সনাক্তকরন নাম্বার ও ক্রয়ের তারিখ সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয়নি।

এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ সঠিকভাবে বিতরন করেনি বলেও জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির শেয়ারের পরিমাণ ৩ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ১০১টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০.১৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪.৮৩ শতাংশ।

Share
নিউজটি ৫৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged