২৯ কোটি টাকার পেপার প্রসেসিংয়ে ৫৩ কোটি টাকার গরমিল

সময়: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ ১২:১৬:৫২ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির শেয়ার কারসাজি কিছুদিন পর পরই দেখা যায়। শেয়ারটির কারসাজির নেতৃত্বে কোম্পানির পরিচালকরা রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেয়ার কারসাজির কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে কারসাজির সুযোগ নেওয়া হয়েছে। যা উঠে এসেছে কোম্পানিটির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। যেখানে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ৫৩ কোটি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে।

এর আগে দীর্ঘদিন যাবত ওভার দ্য মার্কেটে (ওটিসি) পড়ে ছিল মাগুরা গ্রুপের মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। ২০২১ সালের ১৩ জুন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়। এরপর শেয়ারটি নিয়ে শুরু হয় কারসাজি। যাতে করে অস্বাভাবিক হারে বাড়ে শেয়ারটির দর।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক জানিয়েছেন, পেপার প্রসেসিং কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। কিন্তু নিরীক্ষক সরেজমিনে সত্যতা যাচাইয়ে গিয়ে মজুদ পণ্যের সঠিক রেকর্ড এর তথ্য পাননি। যাতে করে নিরীক্ষক কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেখানো মজুদ পণ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি।

নিরীক্ষক প্রতিবেদনে অভিযোগ করেছেন, পেপার প্রেসেসিং কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখিয়েছে। যা যাচাইয়ে গিয়ে নিরীক্ষক ওইসব সম্পদের সনাক্তকরন নাম্বার ও ক্রয়ের তারিখ সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয়নি।

এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেপার প্রসেসিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৯ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির শেয়ারের পরিমাণ ২ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার ৩৭৮টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৮.৬৫ শতাংশ।

Share
নিউজটি ৬৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged