ইন্দো-বাংলার পর এবার বিডি পেইন্টস দিয়ে অর্থ আত্মসাৎয়ের পায়তারা

সময়: সোমবার, মে ২৩, ২০২২ ৭:২০:৪৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুয়া প্রসপেক্টাস দাখিল করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। সেই ইন্দো-বাংলার পর এবার বিডি পেইন্টস লিমিটেডের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের পায়তারা করছে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: বেলাল খান। ভুয়া ও বানোয়াট প্রসপেক্টাস দাখিল করে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) অনুমোদন নিয়েছে বিডি পেইন্টস। কোম্পানিটিকে ঘিরে নানা বিতর্ক থাকলেও অদৃশ্য কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) পুঁজি উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) জন্য যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় বিডি পেইন্টস লিমিটেডের আইপিও বাতিল করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরবর্তীতে কোম্পানিটি পুনরায় আইপিও অনুমোদনের জন্য প্রসপেক্টাস জমা দিয়েছে। কিন্তু দাখিলকৃত প্রসপেক্টাস সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও কাল্পনিক বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিডি পেইন্টস শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দাখিলকৃত প্রসপেক্টাসে সম্পদ বিবরনীতে জমি উন্নয়ন বাবদ ৮ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪৭ টাকা সম্পদ হিসাবে দেখানো হয়েছে যা বিভ্রান্তিকর। কারন বিডি পেইন্টস প্রতিষ্ঠিত ভারাকৃত জমির উপর, যে জমির মালিকই বিডি পেইন্টস নয় সেই জমির উন্নয়ন ব্যয় বিডি পেইন্টস এর সম্পদ হিসাবে কিভাবে। এছাড়া বিডি পেইন্টস বরিশালস্থ বিসিক শিল্প নগরীর যে প্লটে প্রতিষ্ঠিত সেই প্লট দুটিতেই বহু আগ থেকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত ছিল। উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের বরাদ্ধকৃত জমির লীজ চুক্তি বাতিল করে বিডিপেইন্টস এর অনুকুলে উক্ত জমির লিজ প্রদান করা হয়। উক্ত প্লট সমূহ বহু পূর্ব হইতেই ভরাটকৃত উচু জমি। কেবলমাত্র সম্পদের পরিমান বাড়িয়ে দেখানোর জন্য ভুমি উন্নয়ন ব্যয় সম্পদ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

এদিকে বিডি পেইন্টস এর প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত সম্পদ বিবরনীতে ফ্যাক্টরী ইকুইপমেন্ট ও ল্যাবরেটরী ইকুইপমেন্ট হিসাবে ৮ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ১৭১ টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়া মেশিনারী ও ইকুইপমেন্ট ১৮ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৬ টাকা দেখানো হয়েছে। এখানে চতুরতার মাধ্যমে একবার ফ্যাক্টরী ইকুইপমেন্ট পূনরায় মেশিনারী ও ইকুইপমেন্ট হিসাবে দেখানো হয়েছে। অর্থ্যাৎ এক কুমিরের ছানা বার বার দেখানো হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মেশিনারী ও ইকুইপমেন্ট আমদনী ও ক্রয়ের বিলগুলো পর্যালোচনা করলেই সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে বিডি পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: বেলাল খানের মন্তব্য জানতে চাইলে তার কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পর এই চক্রটি বিডি পেইন্টসকে তালিকাভুক্ত করে পুনরায় বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করার পায়তারা। বিএসইসির উচিত অনতিবিলম্বে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া।

পরবর্তী পর্ব: নাম সর্বস্ব অস্তিত্ব কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বিডি পেইন্টসের চেয়ারম্যান

Share
নিউজটি ৪০৫ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged