সাধারণ বীমা ব্যবসায় সেরা ৫ কোম্পানি

সময়: শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০১৯ ১২:০২:৫৩ পূর্বাহ্ণ


অনুপ সর্বজ্ঞ: গত বছর সাধারণ বীমা খাতের ৪৬টি কোম্পানি মোট গ্রস প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৩ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সেরা পাঁচের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ‘গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স’। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘সাধারণ বীমা করপোরেশন’ (এসবিসি), ‘পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স’, ‘রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স’ ও ‘প্রগতি ইন্স্যুরেন্স’। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ৩৬৭ কোটি ৮৬ লাখ টকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করে ব্যবসার শীর্ষে রয়েছে ‘গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স’। ২০১৭ সালে এ কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম আয় ছিল ৩২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ অনুযায়ী ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এঋ

গত ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৬ ও ১৭ সালে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।

এ প্রসঙ্গে গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা, উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির এ চৌধুরি ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-কে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান আইডিআরএ’র নিয়ম মেনে ব্যবসা করছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাজারে নতুন নতুন বীমা পলিসি আনছি। এসব কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। মূলত গ্রাহক আস্থা অর্জনের কারণেই কোম্পানিটি সেরাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে’ বলে জানান তিনি।
গত বছর ৩৫৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করে ব্যবসার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘সাধারণ বীমা করপোরেশন’ (এসবিসি)। ২০১৭ সালে এ কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম আয় ছিল ২৩৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে এসবিসির ব্যবসা বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সাধারণ বীমা খাতে সরকারের একমাত্র পুনঃবীমাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এসবিসি।

‘পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স’ ২০১৮ সালে ৩০১ কোটি ১৬ লাখ টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছে। এতে ব্যবসার দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এ কোম্পানি। ২০১৭ সালে কোম্পানিটির ব্যবসার পরিমাণ ছিল ২৬৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় গত বছর পাইওনিয়ারের ব্যবসা বেড়েছে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।

গত ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ৬২৫টি। সর্বশেষ ২০১৮ বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় পাইওনিয়ার। ২০১৬ ও ১৭ সালেও ১৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ পান এ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা।

গত বছর ২৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করে ব্যবসার দিক থেকে চতুর্থ অবস্থা রয়েছে ‘রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স’। ২০১৭ সালে এ কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম ছিল ২৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার ৮৭টি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় রিলায়েন্স। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর ইপিএস হয় ৫ টাকা ২১ পয়সা ও এনএভিপিএস ৬০ টাকা ৮২ পয়সা। ২০১৭ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স।
গত বছর ‘প্রগতি ইন্স্যুরেন্স’-এর গ্রস প্রিমিয়াম আয় দাঁড়িয়েছে ২০৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এতে ব্যবসার দিকে পঞ্চম স্থানে উঠে আসে এ কোম্পানি। ২০১৭ সালে কোম্পানিটির ব্যবসার পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এ অনুযায়ী ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে এ কোম্পানির ব্যবসা বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯টি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১৩ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় প্রগতি ইন্স্যুরেন্স। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর ইপিএস দাঁড়ায় ৩ টাকা ২ পয়সা ও এনএভিপিএস ৫৩ টাকা ৫ পয়সা। ২০১৭ সালে ১৩ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় প্রগতি ইন্স্যুরেন্স।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/রী

Share
নিউজটি ৫৩১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged