editorial

ভ্যাট আদায় মেশিন বসছে ডিসেম্বরে

আর নয় কালক্ষেপণ

সময়: রবিবার, ডিসেম্বর ১, ২০১৯ ৬:৪০:৪০ অপরাহ্ণ


রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির মূল জায়গা হচ্ছে মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট)। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন করা যায়। রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকারের অন্তরিকতার ঘাটতি নেই। প্রতিবছরই নতুন নতুন খাতকে করের আওতায় আনা হচ্ছে। কর আদায়ে স্বচ্ছতা ও ফাঁকি রোধেও নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। কিন্তু সেসব পদক্ষেপগুলো নির্ধারিত সময়ে কার্যকর না হওয়ায় বছর শেষে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষমাত্রা থাকে তাতে ঘাটতি থেকেই যায়।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও গতি আনতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমদিন ১ জুলাই থেকেই প্রযুক্তিনির্ভর ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। বিগত বছরগুলোতে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে ইসিআর (ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার) মেশিন চালু ছিল। এ বিষয়টি সবমহলে প্রসংশিত হয়েছে। তবে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে আরো বেশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই ইসিআরের বদলে ইএফডি মেশিন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ইসিআরের তুলনায় ইএফডি মেশিন বেশি কার্যকর। এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে সব ইএফডি মেশিন। তাই কতটা পণ্য বিক্রি হচ্ছে বা পণ্য বিক্রিতে গ্রাহক কী পরিমাণ ভ্যাট পরিশোধ করছে তা সহজেই জানার সুযোগ থাকবে। ফলে ফাঁকি রোধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। ভ্যাট আদায়ে শতভাগ সফলতা আসবে এমনটা প্রত্যাশা করেই নতুন এ প্রযুক্তি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলো, অর্থবছরের প্রায় ছয় মাস শেষ হতে চলছে, এ পদ্ধতি এখনো কার্যকর হয়নি। এ বিলম্বে কার ক্ষতি হচ্ছে এটাই প্রশ্ন। নিশ্চয়ই সরকারের আবার পরোক্ষভাবে জনগণের।
অনলাইনে মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ে গত ২৪ জুলাই এক লাখ ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি), ৫০০ ইউনিট সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) এবং ফিসক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএফডিএমএস) কেনার একটি ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এতে সরকারের ব্যয় ধরা হয় ৩১৫ কোটি ৮৮ লাখ ২১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। ফলে যে লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পনাটি হাতে নেয়া হয়েছিল সে লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মেশিনগুলো সরবরাহ করা হবে। ডিসেম্বরে হলে ইতোমধ্যে অর্থবছরের ছয় মাস পার হয়ে যাবে। বাকি ছয় মাসে এ ক্ষতি কতটা পূরণ করা সম্ভব তা সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন।

Share
নিউজটি ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged