পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি)-এর কালক্ষেপণের কারণে দুই কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শেয়ারহোল্ডাররা। ফলে এ দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে। জানা যায়, ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরার প্রক্রিয়া হিসেবে গত ২০১৮ সালের জুনে আর্থিক বছর শেষে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ হারে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মাগুরা গ্রুপের দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছেÑ ‘বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড’ ও ‘পেপার প্রসেস অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড’। কিন্তু কোম্পানি দুটি লভ্যাংশ দিতে পারবে কি নাÑ এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মতামত জানায়নি বিএসইসি। ফলে আরও একটি হিসাব বছর (জুন, ২০১৯) শেষ হয়ে গেলেও লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
উল্লেখ্য, উৎপাদন নেই, কাগুজে শেয়ার, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে না, আর্থিক প্রতিবেদন সময় মতো জমা দেয় না, লভ্যাংশ দিতে ও শর্ত (কমপ্ল্যায়েন্স) পরিপালনে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে নিয়ে ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেট গঠন করা হয়। ওই সময় আলোচ্য কোম্পানি দুটিও ওটিসিতে স্থান পায়। পরে কমপ্ল্যায়েন্স পরিপালন করে কিছু কোম্পানি মূল মার্কেটে ফিরে এসেছে। সম্প্রতি সময়ে আরো বেশ কয়েকটি কোম্পানি মূল মার্কেটে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর জন্য কোম্পানিগুলো তাদের মূলধন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ ও এজিএম করছে।
কোম্পানি দু’টির কর্মকর্তারা বলছেন, মূল মার্কেটে ফেরার লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কোম্পানি দু’টির পণ্য উৎপাদন চালু আছে, নিয়মিত এজিএমও করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এজিএম-এ বিনিয়োগকারীরা ওই লভ্যাংশ সমর্থন করেছে। অনুমোদন না পাওয়ায় লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে দিতে পারছে না কোম্পানি দু’টি। এ বিষয়ে একাধিকবার অনুমোদন চেয়ে বিএসইসিতে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কোনো বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার এখতিয়ার বিএসইসি’র রয়েছে। এমতাবস্থায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে এ বিষয়ে বিএসইসি’র দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান