ডেস্ক রিপোর্ট : বহুজাতিক ও দেশীয় মিলে মোট ৩৬টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি উদঘাটিত হয়েছে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট খাতে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) দাখিলপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এই ফাঁকি উদঘাটন করেছে। সূত্র: বাসস
বড় আকারের ভ্যাট পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট অফিসে দাখিল করা কাগজপত্র, প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত নথি, শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষিত আর্থিক বিবরণী কিংবা ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে প্রদেয় বিবরণী বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভ্যাট এলটিইউ কমিশনার মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর বলেন, ‘ভ্যাট পরিশোধকারী কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলোর দাখিলপত্র যাচাই কার্যক্রম জোরদার করার কারণে বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করা গেছে। দাখিলপত্র পরীক্ষায় দেখা গেছে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া কোম্পানিগুলো যেসব তথ্য দিচ্ছে সেটা সঠিক নয় কিংবা কোন কোনক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে।’
তিনি জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও দাবিনামা জারি করা হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পরিশোধও করেছে। ইতোমধ্যে ১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
রাজস্ব ফাঁকি দেয়া কোম্পানিসমূহ মূলত ব্যাংক, বীমা, তামাক, সিমেন্ট, ওষুধ, মোবাইল এবং বেসরকারি শিল্প খাতের। তবে এর মধ্যে কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভ্যাট এলটিইউ দাখিলপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ১২০ কোটি ৬২ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছিল। পরবর্তী অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ভ্যাট পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পণ্য উৎপাদন, কেনাবেচা,আয়-ব্যয়সহ ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্যদি প্রতি মাসে ভ্যাট অফিসে জমা দিতে হয়।এটাই হলো ভ্যাট রিটার্ন বা ভ্যাট দাখিলপত্র।
মুবিনুল কবীর বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় এখন ভ্যাট দাখিলপত্র যেন যথাযথভাবে পরীক্ষা বা যাচাই-বাছাই হয়, সে দিকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ সঠিক তথ্য গোপন করার পাশাপাশি অনেকে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যবসা করেন, সেগুলো যাতে বন্ধ করা যায়। এর পাশাপাশি নিরীক্ষা কার্যক্রমও জোরদার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক শেয়াাবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান