অনলাইনে ভ্যাট আদায়ে এক লাখ এফএফডি কিনছে সরকার

সময়: বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৫, ২০১৯ ৬:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন ভ্যাট আইনে অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ে এক লাখ ইলেট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (এফএফডি), ৫০০ ইউনিট সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) এবং ফিসক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএফডিএমএস) কিনছে সরকার। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৩১৫ কোটি ৮৮ লাখ ২১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ব্যবসায়ীদের অনেক দফা বৈঠক করে ভ্যাট আইন-২০১২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, ভ্যাট আদায়ের জন্য এখনো কোনো দোকানে মেশিন নেই। এক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এ কাজটা আগেও করতে পারছিলাম না। কারণ এটা অর্থ বিলে পাস হতে হতো। পাস না করে এটা করা যায় না। অবশেষ চলতি বাজেটে এটা পাস হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থবিল পাস হওয়ায় অবশেষে আজ ১ লাখ মেশিন কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতোগুলো মেশিন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হলে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমাদের পুরো প্রক্রিয়া সমস্যায় পড়বে। তাই অল্প অল্প করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনা হবে। কিন্তু একটা শর্ত হচ্ছে- যারাই মেশিন সরবরাহ করবে তারা ইউরোপ-এশিয়া যেখান থেকেই দিক না কেন, এনবিআরের মেইন সর্ভার লিংক করে এক জায়গা থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমরা ১০ হাজার এফএফডি মেশিন কিনবো। প্রতিটি ৩২ হাজার টাকা হারে ১০ হাজার মেশিন সরবরাহ করবে চায়নার প্রতিষ্ঠান চীনা কোম্পানি এসজেডজেডএমএমটি। দুই বছরে আমাদের প্রায় ২ লাখ মেশিন প্রয়োজন হবে। ধীরে ধীর আমরা এসব মেশিন কিনবো। এসব মেশিন মেনটেনে অনেক জনবল লাগবে। এ মেশিনগুলো আমরা ব্যবসায়ীদের দেবো। মেশিনের মূল্য ৩২ হাজার টাকা ব্যবসায়ীদের পরিশোধ করবে হবে। তবে দাম পরিশোধে দীর্ঘসময় দেয়া হবে।’
এসব মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসজেডজেডটি-এর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই বলে জানা গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অভিজ্ঞতা আছে। সেজন্যই ১০ হাজার দিলাম। না হলে একবারে এক লাখ দিতাম। ১০ হাজার যে দেবে, সেজন্য সিকিউরিটি দিতে হবে। পাশাপাশি আরো কিছু প্রতিষ্ঠানকে এ মেশিন সরবরাহের কাজ দেয়া হবে।
এদিকে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এছাড়াও আরো ৫টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
অন্যদিকে শেয়ারবাজার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে আমাদের কন্ট্রোলিং এজেন্সি আছে, ওখানে আলোচনা করেন।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৯০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged