নিজস্ব প্রতিবেদক : রায় না মানার এবং আদালতে হাজির না হওয়ার অভিযোগে ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডির (ব্যবস্থাপনা পরিচালক ) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
কোম্পানিটির এমডি)আলী রেজা ইফতেখারের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি মূল মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুল জারি করেন আদালত। রোববার (০৫ নভেম্বর) মামলার আইনজীবীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়, আশরাফ উল আলম নামে এক ব্যক্তি ২০০৬ সালের ২ এপ্রিল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক (বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৮, তারিখ ২৭.১০.২০১৩)- লঙ্ঘন করে আবেদনকারীকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করেছে। এরপর একই বছরের ১৯ এপ্রিল চাকরি ফেরত চেয়ে আবেদন করা হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি।
পরে আশরাফ বাদী হয়ে একই বছরের ৬ জুন ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালত-২ এ মামলা করেন। চলতি বছরের ৩১ মে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে দুই আসামিকে ৪৫ দিনের মধ্যে বকেয়া আশরাফকে চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে রায় না মানার কারণে বাদী ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলমকে আসামি করে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার দ্বিতীয় আসামি মঞ্জুরুল আলম আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান। তবে ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে পরোয়ানা আদেশ ও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে গত ১৬ অক্টোবর মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্ল্যার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস ও মো. মাহবুবুর রহমান কিশোর। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।