ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের কিউআইও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ

সময়: মঙ্গলবার, এপ্রিল ২, ২০২৪ ১২:২০:৩০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের কিউআইও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা কোম্পানিটির কউআইও আবেদন আগামী ২১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ২৫ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের কিউআইও আবেদনে আগ্রহীদের আগামী ৮ এপ্রিলের আগে শেয়ারবাজারে অন্তত ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। পাশাপাশি সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির ৯০০তম কমিশন সভায় কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) অনুমোদন পাওয়া ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার শেয়ারবাজারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

উত্তোলিত অর্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণে (বিএমআরই) ২ কোটি টাকা, ব্যাংকঋণ পরিশোধে ১ কোটি টাকা, কার্যকর মূলধন ব্যবস্থাপনায় ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনায় ৪৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে।

ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার ২০১৭ সালে একটি রপ্তানিমুখী কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজস্ব কারখানায় শৈল্পিকভাবে জুতা তৈরির জন্য বিশ্বখ্যাত ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রিমিয়াম মেশিন এনে স্থাপন করা হয়েছে। উন্নতমানের চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য ইতালি, জার্মানি ও চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশ ছাড়াও ইতালি ও চীনের সেরা এবং অভিজ্ঞ ডিজাইনাররা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জুতার নকশা করছেন। এশিয়ার অন্যতম সেরা কয়েকটি অনুমোদিত ট্যানারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি জুতা তৈরির চামড়া সংগ্রহ করে থাকে।

কোম্পানিটির দুটি ইউনিট রয়েছে। এরমধ্যে ইউনিট-১ থেকে উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। আর ইউনিট-২ থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে, যা থেকে কোম্পানির মোট রেভিনিউর প্রায় ৯৭ শতাংশ আসে।

কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য বিক্রি থেকে ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের আয় হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। পণ্য উৎপাদন ব্যয় সমন্বয়ের পর মোট আয় হয় ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে এই অর্থবছরে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ সহায়তা পেয়েছে কোম্পানিটি। ব্যাংকঋণ ও কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের অর্থবছরে ছিল ১ টাকা ৯১ পয়সা। সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হচ্ছে ১৬ টাকা ৭২ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে গ্রিন ডেলটা ক্যাপিটাল লিমিটেড।

 

Share
নিউজটি ৩২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged