নিজস্ব প্রতিবেদক: জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০ লাখ টাকার জরিমানার কবলে ইসি সিকিউরিটিজ এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মো. খুরশিদ আলম।
তদন্তে পরিদর্শন দলকে (ইনস্পেকশন টিম) তথ্য ও ডকুমেন্টস না দিয়ে অসহযোগিতার দায়ে মার্চেন্ট ব্যাংকটি এবং এর সিইওর বিরুদ্ধে এই জরিমানা আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্র জানায়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর কিছু তথ্য/প্রমাণাদি দাখিলের জন্য ইসি সিকিউরিটিজকে চিঠি দেয় কমিশন। এরপর ইসি সিকিউরিটিজের সিইও খুরশিদ আলম মৌখিকভাবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। এরপর পরিদর্শন দল খুরশিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আবারও সময় বাড়িয়ে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত করার অনুরোধ করেন। তারপরেও তিনি তথ্য/প্রমাণাদি দিয়ে সহযোগিতা করেননি।
এই পরিস্থিতিতে পরিদর্শন দলটি অসন্তুষ্টি প্রকাশ ও মার্চেন্ট ব্যাংকটির অসহযোগিতার বিষয়টি জানিয়ে ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি চিঠি দেয়। একইসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকটিকে মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা ১৯৯৬ এর বিধি ৩২(৪) পরিপালন করতে বলা হয়। যে বিধিতে মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার পরিদর্শকের চাহিদা মোতাবেক হিসাব বহি, রেকর্ড, দলিল পত্র এবং অন্যান্য তথ্যাদি সরবরাহ করতে এবং পরিদর্শন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া একই আইনের ৩৮(১) বিধিতে মার্চেন্ট ব্যাংকের সিইও বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সকল আইনকানুন পরিপালনের কথা বলা আছে। এসত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে কোন সাঁড়া দেয়নি।
এই বিষয়ে শুনানিতে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল লিখিত বক্তব্যে তথ্য/প্রমাণদি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসি সিকিউরিটিজ ও সিইও দুঃখ প্রকাশ করে। এছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে আইন ভঙ্গের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর ভবিষ্যতে সব নিয়মকানুন মেনে চলবেন বলে জানায়।
প্রতিষ্ঠানটি ও সিইওর এমন ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে ইসি সিকিউরিটিজ ও খুরশিদ আলমকে জরিমানা করা প্রয়োজন এবং সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। যে কারণে কমিশন ইসি সিকিউরিটিজ ও খুরশিদ আলমকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শাস্তির বিষয়ে সম্প্রতি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।