নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়রম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত- উল ইসলাম বলেন, বিএসইসি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্রুতই “গ্রীণ বন্ড” বাজারে নিয়ে আসবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১” শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার প্রথম ৩০ বছরে আমরা আশানুরূপ উন্নতি করতে পারিনি তাই এখন আমাদের দ্বিগুন গতিতে এগোতে হবে। তিনি বলেন, এধরণের সম্মেলন থেকে যেসব অ্যাকশন প্ল্যান আসবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ফ্রাঙ্ক রিজবারম্যান, ডিরেক্টর জেনারেল, গ্লোবাল গ্রীন গ্রোথ ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশে গ্রীণ বন্ডের ইনেশিয়েটিভকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি, এদেশে গ্রীন ফাইন্যান্সিং কে জোরদার করতে গ্রীণ প্রজেক্ট গুলোতে রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট (আর এন্ড ডি) উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, “ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের ব্যবস্থা করে তাই পুঁজিবাজারই হলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল ভরসা। মার্কেটের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে গুড ডিসক্লোজার (মড়ড়ফ ফরংপষড়ংঁৎব) এর ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে আনতে প্রতিযোগিতামূলক প্রাইসিং নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে টেকসই অর্থনীতির জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং এবং কর্পোরেট গর্ভনেন্স এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। রেগুলেটরদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস ইনস্যুরেন্স এবং পেনশন ফান্ড দুর্বল, তাই এক্ষেত্রে আমাদের জোর দেয়া উচিত।
বিশেষ অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে । কিন্তু মানবসম্পদ রয়েছে। এ উভয় সম্পদের সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।”
দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনে সারাবিশ্ব থেকে যোগ দিচ্ছেন টেকসই অর্থায়ণ ও বিনিয়োগ বিষয়ে পৃথিবীর ৩২ জনেরও বেশি খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পেশাজীবী, মার্কেট স্টেকহোল্ডার্স, নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিসহ আরও অনেকে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান