দুই ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে বিএসইসির ব্যবস্থা

সময়: বুধবার, জুলাই ২৪, ২০১৯ ৪:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন ভঙ্গ ও গ্রাহকদের টাকা ঘাটতি রাখায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার এম সিকিউরিটিজ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেকহোল্ডার ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের ওপর আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এম সিকিউরিটিজ : হাউজটিতে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি ছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সমন্বয় করার জন্য সময় বেধে দেয় কমিশন। এরপর হাউসটি থেকে দুই দফায় আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখান করা হয়। তবে চলতি বছরের ২৭ জুনের মধ্যে সব ঘাটতি সমন্বয় করা হয়েছে বলে গত ২ জুলাই কমিশনকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়। কিন্তু ডিএসই পর্যবেক্ষণ শেষে ৯৮ লাখ টাকা ঘাটতি পায়। এর মাধ্যমে হাউসটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস্, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ এর সাব রুল (১) ও (২) ভঙ্গ করে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস্, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ ভঙ্গ করেছে প্রতিষ্ঠনটি। যে কারণে কমিশন, হাউসটির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে গ্রাহকের হিসাবে ঘাটতি, পরিচালকদের হিসাবে ঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে এম সিকিউরিটিজকে ২০ লাখ টাকা ও ২ পরিচালককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও প্রায় একই কারণে আরও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ : এক পরিদর্শনে ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ হাউসটির সিলেট শাখায় ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঘাটতি দেখা দেয়। বিভিন্ন সময় সিএসই’র প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পাওনার ২৯.১৫ শতাংশ অপরিশোধিত রয়েছে, যা পরিশোধে সিএসই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়।
কমিশন সভায়, সিএসই থেকে ব্রোকারেজ হাউজটির প্রাপ্য লভ্যাংশ এবং সিএসই রেগুলেশনস, ২০১৩ এর অধীনে প্রাপ্য ফ্রি লিমিট চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া হাউজটি থেকে চলতি বছরের মধ্যে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ না করলে, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged