পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধন: ১৫ দফা দাবি

সময়: সোমবার, নভেম্বর ১৬, ২০২০ ২:৪৩:২০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের স্থায়ী স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ ১৬ নভেম্বর মতিঝিলে বিডিবিএল ভবনের সামনে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে ১৫ (পনের) দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনটির সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাঈদ হোসেন খন্দকার স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০১০-১১ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে মহাধ্বসের পর বিনিয়োগকারীরা এতোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যে, অনেকে পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অনেকে মানসিক যন্ত্রণায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিনিয়োগকারীরা পুঁজি ফেরত পেতে নতুন বিনিয়োগ করলেও বারংবার অদৃশ্য চক্রের কাছে পরাজিত হয়েছে- যা বর্তমানেও চলমান। চলতি বছর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পুন:গঠনের পর বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পায়। সেই আস্থায় পুনরায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে।

কারণ প্রাইমারি মার্কেট চাঙ্গা করতে ফিক্সড প্রাইস এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কমিশন যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিচ্ছে সেগুলো পুঁজিবাজারে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে। একদিকে প্লেসমেন্ট কারসাজি, অন্যদিকে ইলিজিবল ইনভেস্টরদের সাজানো নাটকে বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যার ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সেকেন্ডারি মার্কেটে পড়ছে। এছাড়া বিএসইসির পাবলিক ইস্যু রুলস ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ না দেখে একটি বিশেষ শ্রেণীকে সুযোগ-সুবিধা দিতে তৈরি করা হয়েছে। যে কারণে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলিজিবল ইনভেস্টরদের বিডিং কারসাজির কারণে অতি উচ্চ মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে শেয়ার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী মানব বন্ধনের ১৫ (পনের) দফা দাবিসমূহ নিম্নে বর্ণিত হলো:

বিনিয়োগকারীদের মানব বন্ধনের ১৫ (পনের) দফা দাবি:

০১. যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইআই) এখন আর যোগ্য নেই। তারা বিভিন্ন কারসাজি ও অনিয়মে সম্পৃক্ত। কাজেই বিডিংয়ের স্বচ্ছতা আনয়নে সাজানো, পূর্ব পরিকল্পিত ও কারসাজি বন্ধ করন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা ও সুরক্ষার লক্ষ্যে সাজানো-কারসাজিমূলক বিডিং পদ্ধতি বাতিল করে পাবলিক ইস্যু রুলস দ্রুত সংশোধন করতে হবে।

এ ছাড়াও, কাটঅফ প্রাইস থেকে বিনিয়োগকারীদের ৮০% বাট্টায় প্রদানসহ আইপিও কোটায় ন্যূনতম ৮০% এ উন্নীত করতে হবে। এবং ইস্যু ম্যানেজার, অডিটর ও প্লেসমেন্ট কালোবাজারীদের দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে আইপিও আবেদনকারীদের যোগ্যতাস্বরূপ ন্যূনতম ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকার বিনিয়োগ বিধান করে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।

০২. রবি আজিয়াটা লিমিটেড:

দেশের পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আগামী ১৭ নভেম্বর এ কোম্পানির আইপিও আবেদন শুরু হবে। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে।
টেলিকম খাতের বৃহৎ কোম্পানি রবি এবং এরকম কোম্পানি বাজারে আসুক তা বিনিয়োগকারীরাও চায়। কিন্তু বর্তমান তারল্য সংকটের বাজারে এ মুহূর্ত্বে রবি’র পুঁজিবাজার থেকে এতো বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হবে সম্পূর্ণ আত্মঘাতী। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এর আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবি’র ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা এবং ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস লোকসান ০.১৩ টাকা নিয়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের কাছে বিপুল পরিমাণ শেয়ার ইস্যুর পর এ কোম্পানির ইপিএস কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। তাই পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ মূহূর্র্তে রবির আইপিও আবেদন শুরু না করে আগামী বছর চালু করা উচিত বলে মনে করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।

০৩. এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন:

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৩৫ টাকা- যার ১০% কমে বা ৩১ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিও আবেদন করতে পারবেন। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে এর নন-কারেন্ট পরশনে টার্ম লোন ৫১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ টাকা, কারেন্ট পরশনে টার্ম লোন রয়েছে ৮০৯ কোটি ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকা এবং শর্ট টার্ম ব্যাংক লোনের পরিমাণ ৩২৫ কোটি ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৫ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির মোট ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫২ কোটি ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৯২১ টাকা যা পরিশোধিত মূলধনের ১১ গুণ! তাই বছরে ৫০ কোটিরও নিচে মুনাফা করা এনার্জিপ্যাক পাওয়ারে বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় এ কোম্পানির শেয়ার ৩১ টাকায় কেনা বিনিয়োগকারীদের জন্য মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া এ কোম্পানির শেয়ারের কাট অফ প্রাইস ৩৫ টাকা নির্ধারণে বিডিং কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। কোন যুক্তিতে এনার্জিপ্যাকের শেয়ার দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ৮৫ টাকায়, অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ৭৮ টাকায়, স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ৬৬ টাকায় এবং ১৬জন বিডার ৫০ টাকায় বিড করিয়ে শেয়ার দর এতো উচ্চমূল্যে নিয়ে গেছে তা তদন্তের দাবি রাখে। তাই এনার্জিপ্যাকের শেয়ার কেনার জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ প্রিমিয়াম/বাট্টায় দিতে পারে। কিন্তু ৩০০% বেশি প্রিমিয়াম দিয়ে এ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে ইলিজিবল ইনভেস্টরদের পাতা ফাঁদে বিনিয়োগকারীরা পা দিতে পারে না।

০৪. মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড:

মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৬০ টাকা। কোম্পানিটির বিডিংয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৪ টাকায় বিডিং হয়। মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের সর্বোচ্চ বিড করেছে এশিয়ার টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ৯৮ টাকায়। এরপরের অবস্থানে রয়েছে একুশ ফার্স্ট ইউনিট ফান্ড এবং একুশ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ৮১ টাকায়। মোট ৭৩টি ইলিজিবিল ইনভেস্টরের মধ্যে ফান্ডের সংখ্যাই ৩৫টি। বিভিন্ন নামে-বেনামে ফান্ড তৈরি করে পরস্পর যোগসাজশে এ কোম্পানির কাট-অফ প্রাইস এতো উচ্চ মূল্যে নির্ধারিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া মীর আক্তার হোসেনের শেয়ার দর সর্বনিম্ন যে ১৪ টাকায় বিড হয়েছে তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

০৫. ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড:

ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৬২ টাকা। এ কোম্পানির সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১ টাকায় বিডিং হয়। ইনডেক্স এগ্রোর মতো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড লিমিটেড একই ব্যবসা করে থাকে। কোম্পানি দুটি’র তুলনা করলে দেখা যায়, ৩০ জুন,২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে ইনডেক্স এগ্রোর কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে আমান ফিডের মুনাফা হয়েছে ৪৭ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ইনডেক্স এগ্রোর প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি মুনাফা করা আমান ফিডের শেয়ার দর যেখানে ২৬ টাকা সেখানে এ কোম্পানির শেয়ারের কাট অফ প্রাইসই নির্ধারিত হয়েছে ৬২ টাকা! যা রীতিমতো বিনিয়োগকারীদের পথে বসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কোম্পানির বিডিংয়ে ১০০ টাকা করে ৫টি বিড হয়েছে, ৭০ টাকার উপরে ৩২টি বিড হয়েছে যার সবই সাজানো নাটক বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। তাই অনতিবিলম্বে ইনডেক্স এগ্রোর বিডিং বাতিল করে তদন্ত করা উচিত।

০৬. পুঁজিবাজারের বর্তমান প্রেক্ষাপট থেকে উত্তোরণে ক্ষতিগ্রস্ত মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে বিধি-বিধান বিশেষভাবে শিথিল করতে হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কোয়ার্টারলী লাভজনক হারে প্রদর্শন পূর্বক স্ট্যান্ডার্ড ডিভিডেন্ড প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কোয়ার্টারলী (ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে) ইপিএস, পিই রেশিও এবং এনএভি যাতে Fabricated এবং Manipulated না হয়- সেজন্য কমিশনকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করতে হবে। এছাড়া শেয়ারহোল্ডারগণ তাদের অর্জিত ক্যাশ ডিভিডেন্ডগুলো যথাযথভাবে প্রাপ্ত হচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং বাসার ঠিকানায়ও পোঁচ্ছেনা। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেনা। কাজেই এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে কমিশনকে যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

০৭. পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে সাপ্তাহিক এনএভি প্রকাশ, কোয়াটারলী আর্থিক প্রতিবেদন, বোর্ড মিটিং, ইজিএম ও এজিএমের তথ্যাবলী যথাসময়ে বিনিয়োগকারীদের অবাধ জানার লক্ষ্যে প্রচলিত গণমাধ্যমে প্রকাশ অব্যাহত থাকতে হবে। কারণ, বর্তমান যুগ অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগ। এটা বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক তথ্যগত অধিকার। বিনিয়োগকারীদেরকে অবাধ তথ্য প্রবাহ থেকে বঞ্চিত করা কোনো ক্রমেই যুক্তিযুক্ত হবেনা। কাজেই পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও স্থায়ী স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের অবাধ তথ্যগত নলেজএবল নিশ্চিত করতে এবং পুঁজির নিরাপত্তা দানে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

০৮. আইসিবি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি মর্যাদাশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান। Market Maker হিসেবে আইসিবিকে লাইসেন্স প্রদান করে পুনর্গঠনপূর্বক একটি Investment Bank হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করছি।

০৯. ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনে প্রাইস পেগিং সাপোর্ট দিতে হবে।

১০. ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির মত পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১০% শেয়ার ছাড়ার আইন বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতেও বিধি হিসেবে সংযোজন করতে হবে।

১১. নতুন নতুন কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে এসেই নো-ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রবণতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে এবং শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজির নিরাপত্তার বিধানে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যেমন- এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

১২. আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রসপেক্টাসে এক ধরণের তথ্য সন্নিবেষিত হয় কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে আরেক ধরণের তথ্য পাওয়া যায়- এ বিষয়গুলোর নিষ্পত্তিতে দ্রুত মনিটরিং টিম গঠন করে তথ্য-উপাত্ত ভিত্তিক সমাধান করতে হবে। যেমন- সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, কাট্টলি টেক্সটাইল এবং অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড ইত্যাদি।

১৩. পুঁজিবাজার থেকে আইপিও এবং প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ কোথায় এবং কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে- সে বিষয়ে ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত কি-না এ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে অথবা দ্রুত শক্তিশালী অনুসন্ধানী টিম গঠনে যথাযথ তদন্তপূর্বক তথ্যাবলী বিনিয়োগকারীদেরকে অবহিত করতে হবে।

১৪. পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও স্থায়ী স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ঋণগ্রস্ত ও লোকসানী কোম্পানি যাতে নিবন্ধিত না হয় সেজন্য ইস্যূ ম্যানেজার এবং অডিটরদের বিশেষভাবে নির্দেশ দিতে হবে।

১৫. পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার দর যখন ধারাবাহিকভাবে কয়েক কার্যদিবস বাড়ে তখন ডিএসই‘র পক্ষ থেকে একটি তদন্ত নোটিশ দেয়া হয়। কিন্ত যখন ধারাবাহিকভাবে কয়েক কার্যদিবস শেয়ার দর কমে যায় তখন কোনো নোটিশ দেয়া হয়না। কাজেই দর বাড়া ও কমার ক্ষেত্রে যেন একই নিয়ম প্রয়োগ হয়। তাহলেই সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারগণ ক্ষতি থেকে উত্তোরণ পাবেন।

 

দৈনিকশেয়ারবাজারপ্রতিদিনি/এসকে

Share
নিউজটি ৬১৯ বার পড়া হয়েছে ।