বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট

প্রথম দিনেই নতুন সূচকে পতন

সময়: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২, ২০২০ ১২:০৫:১৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সহায়তায় বাজারের মন্দা পরিস্থিতিতে নতুন সূচক সিএনআই-ডিএসই সিলেক্ট ইনডেক্স (সিডিএসইটি) চালু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। কিন্তু গতকাল চালুর প্রথম দিনেই সূচটির পতন ঘটেছে। নতুন সূচকে আস্থা রাখতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে না পারলে বাজারে নতুন সূচক চালু করেও লাভ নেই। এসব না করে বাজারে ভালো কোম্পানি শেয়ার আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত ডিএসই‘র। ভালো কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্যমতে, সিডিএসইটি গতকাল চালু হয়েছে। লেনদেন শুরু হওয়ার সময় সূচকটি ৮৯৯ পয়েন্টে ছিল। পরবর্তীতে তা সর্বোচ্চ বেড়ে দাঁড়ায় ৯০৩ পয়েন্টে। দিন শেষে সূচকটির পতন হয়ে ৮৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। সূচকটির ভিত্তি তারিখ ধরা হয়েছে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং ভিত্তি ভ্যালু হচ্ছে ১ হাজার পয়েন্ট। সূচকটি প্রতি ৬ মাসে পর পর পূণর্মূল্যায়ন করা হবে। এ সূচকের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আরও বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করছে ডিএসই। তবে প্রথম দিন পতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের কতটুকু আগ্রহী করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েকদিন পর পর সূচক চালু করে বাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়। বাজার স্থিতিশীলতা ফেরাতে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হবে। সরকারের পলিসি সাপোর্টের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে মন্দা বাজারে বিদেশিরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে বাজারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। একই সঙ্গে দেশের বিনিয়োগকারীদেরও বাজারে ভালো কোম্পানির আনার মাধ্যমে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এসব কাজের মাধ্যমে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে মনে করছেন তারা।

এ সম্পর্কে অধ্যাপক আবু আহমেদ দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন কে বলেন, সূচক চালু করলেই তো বাজার স্থিতিশীল হবে না। ডিএসই’র এমন কোনো কাজ বা উদ্যোগ নেয়া উচিত যাতে সব ধরনের বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখি হয়। শুধু উদ্যোগ নিলেও হবে না তা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হবে।

ডিএসইর নতুন সূচকটিতে কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাজার মূলধন (শীর্ষ স্থানীয়), মৌলভিত্তি (মুনাফা) ও তারল্য (লেনদেন, ট্রেডিং ডে) ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সূচকটিতে বর্তমানে ৪০টি কোম্পানি রয়েছে। ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে চীনের কনসোর্টিয়ামের ব্যসায়িক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ডিএসই’তে আকারভিত্তিক তিনটি (বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানির সমন্বয়ে) নতুন সূচক চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিমিটেড ও ডিএসই যৌথভাবে এই সূচকটির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করেছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ২৯৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged