editorial

বিনিয়োগকারী সংগঠনের সঙ্গে আইসিবি’র ইতিবাচক সভা

সময়: মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১, ২০২০ ১২:১৫:০০ পূর্বাহ্ণ


শেয়ারবাজারের অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের মতামত জানা এবং তার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ারবাজারে ব্যবসায়রত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠনসমূহের সঙ্গে গত ১৯ জানুয়ারি এক সভায় মিলিত হয়। এই ধরনের মত বিনিময় সভা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিরলই বলতে হয়। তবে আইসিবি শেয়ারবাজারে ব্যবসায়রত বিনিয়োগকারীদের সংগঠনসমূহের সঙ্গে এ ধরনের একটি আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। কারণ এই মুহূর্তে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অব্যাহত দরপতনের কারণে বিনয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা হলেও হতাশা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় আইসিবি বিনিয়োগকারীদের সংগঠনসমূহের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য শ্রবণ এবং তার ভিত্তিতে সুপারিশ প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যন্ত ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য নানা দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বাজারে তার প্রভাব লক্ষ্য করছি। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শেয়ারবাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কারণে বাজার আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত রবিবার সূচকের বড় ধরনের উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। মন্দা বাজারে আতঙ্কিত হয়ে যারা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেলেন তারাও তাদের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন করেছেন। গত ১৯ জানুয়ারি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩২ পয়েন্ট বা সাড়ে ৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পয়েছে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইএক্স চালু হবার পর কোনো একদিনের ব্যবধান এটাই সর্বোচ্চ উত্থান। বর্ণিত সময়ে স্থানীয় এবং বিদেশি কয়েকটি ভালো কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবার কারণেই মূলত সূচকের এমন উত্থান ঘটেছে। আগামীতে বাজারের অবস্থা আরো ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলো আইসিবি’র সঙ্গে আলোচনাকালে বেশ কিছু প্রস্তাবি দিয়েছেন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে,বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন, প্রাথমিক গণ প্রস্তাব,রাইট শেয়ার ইস্যু এবং প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে লোপাট বন্ধকরণ,ফোর্সড সেল, ডে-নেটিং বন্ধকরণ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে ঋণদান,উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারনের ব্যবস্থাকরণ। আইসিবি কর্র্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে,তাদের এসব প্রস্তাবের মধ্যে গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ প্রেরণ করবেন। বিনিয়োগকারীদের সংগঠন সমূহের পক্ষ থেকে যে সব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হলে শেয়ারবাজার আগামীতে সঠিক পথে ধাবিত হতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ধরনের একটি পজিটিভ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আইসিবি কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারেন। আমরা আশা করবো,আইসিবি মাঝে মাঝেই বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এ ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে শেয়ারবাজারের বাস্তব সমস্যা জানার চেষ্টা করবেন।

Share
নিউজটি ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged