editorial

বীমা কোম্পানির অনুমোদনহীন সিইও’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ

সময়: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২, ২০২০ ৮:৪৪:২০ অপরাহ্ণ


‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’ এর গতকালের সংখ্যায় ‘অনুমোদনহীন সিইও’দের সতর্ক করে আইডিআরএ’র চিঠি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি নানা কারণেই বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। এতে বলা হয়েছে, বিধি মোতাবেক কোনো বীমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ প্রার্থী সিলেক্ট করার পর ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) নিকট থেকে সেই প্রার্থীকে নিয়োগদানের ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হয়। আইডিআরএ’র নিকট থেকে ছাড়পত্র পেলেই কেবল সেই প্রার্থীকে একটি বীমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগদান করা যায়। কিন্তু প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, বেশ কিছুু বীমা কোম্পানি আছে যারা প্রচলিত এই নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করেই শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছে। শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ নবায়ন অথবা চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রেও নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তারা পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচিত হবার পরই একজনকে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিচ্ছেন। তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করছেন। এমনকি কোম্পানির গাড়িও ব্যবহার করছেন। এ ধরনের আচরণ বীমা খাতের জন্য অনুসৃত নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এতে আইডিআরএ’র নিয়ন্ত্রণমূলক কর্তৃত্বই যে শুধু খর্ব হচ্ছে তাই নয়, একই সঙ্গে বীমা কোম্পানিগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। ব্যাংক-বীমা বা এ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা নিয়ে কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার স্থান। তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রচলিত আইন পরিপূর্ণভাবে মেনেই ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। কোনো কারণে যদি তারা আইন বহির্ভূত কাজ করেন এবং সে জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে তার প্রভাব পুরো সেক্টরের উপর পড়তে পারে। মানুষ যে প্রতিষ্ঠানকে তাদের বিশ্বাস এবং আস্থার স্থান হিসেবে গ্রহণ করে সেই প্রতিষ্ঠান যদি আইন পরিপন্থি কাজ করে তাহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুন্ন হতে বাধ্য।
এই আইন অমান্য করার বিষয়টি আইডিআরএ’র পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার আগেই আইডিআরএ বিদ্যমান আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকট চিঠি দিতে যাচ্ছে। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা বা ক্ষতি হবার আগেই তারা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন। আইন অমান্যকারীদের প্রতি কোনো ধরনের অনুকম্পা প্রদর্শন না করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এটাই সবার কাম্য। প্রচলিত আইন যথাযথভাবে পরিপালন করে একটি প্রতিষ্ঠান যদি অভ্যন্তরীণ সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কাঙ্খিত মাত্রায় সেবা প্রত্যাশা করা যায় না। আইন লঙ্ঘন করার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এটাই প্রত্যাশিত। তবে ব্যবস্থা গ্রহণের নামে কেউ যাতে অকারণে হয়রানির শিকার না হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে।

Share
নিউজটি ৪২১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged