নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায়ী সপ্তাহে (২৪-২৮ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ২০ খাতে। এর ফলে এই ২০ খাতের বিদায়ী সপ্তাহে লোকসানে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্রকৌশল খাতে। এই খাতে ৬.৪০ শতাংশ দর কমেছে। ৫.৮০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চামড়া খাত। একই সময়ে ৫.৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- আর্থিক খাতে ৫.১০ শতাংশ বস্ত্র খাতে ৪.৯০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৪.৯০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪.৯০ শতাংশ, কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ৪.৩০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৪.০০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩.৯০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩.৬০ শতাংশ, পাট খাতে ৩.৬০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩.৬০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩.২০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ২.৯০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১.১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ১.২০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ১.২০ শতাংশ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ২.৪০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২.৫০ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে আরো অবনতি সূচক ও লেনদেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শেয়ারবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (২৪-২৮ মার্চ) আরো অবনতি সূচক ও লেনদেন হয়েছে। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন ও মূলধন কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৩.৩৪ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৭৮.৩৩ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩৮.৪৯ পয়েন্ট বা ২.৯৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫৪.৫৪ পয়েন্টে।
ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬.৬৩ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১.০৯ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৯৩.৮৪ পয়েন্ট বা ৬.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩০.৩৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টি, কমেছে ৩৪৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬১ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৮বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ০.৪৭ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৪০ কোটি ৪ লাখ ৪ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৩১১ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা বা ১.৯২ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮৩.৭৪ পয়েন্ট বা ২.২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৫৩.৪৪ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ২১৬.৬৭ পয়েন্ট বা ২.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৫১.৪৩ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১৭.৫৭ পয়েন্ট বা ১.৪৬ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২০.১১ পয়েন্ট বা ১.৮৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১৮২.২৬ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৭৪.৫৮ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৬৭.১৬ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭০১.৮২ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৪টি, কমেছে ১৮৬৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৮ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৪ কোটি ৯০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৯ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৮১ টাকা বা ১১.৮৬ শতাংশ কমেছে।