সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

২০১৯ সালে ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন

সময়: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯ ৬:৪৫:০০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৯ সাল জুড়ে মন্দা অবস্থায় ছিল শেয়ারবাজার। মাঝে মাঝে সূচক ও লেনদেন বাড়লেও তার পরিমাণ ছিল সামান্য। যে কারণে বাজার তলানীতে অবস্থান করছে। বর্তমানে সূচক ৫০০০ পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। আলোচ্য বছরে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ১৪.৮১ শতাংশ। অন্যদিকে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৭.৩২ শতাংশ। এছাড়া বাজার মূলধন কমেছে ১৪.৮০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৩,৮২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকায়৷ যা আগের বছরের তুলনায় ১৯,৭৬৯ কোটি ৪৪ কোটি টাকা বা ১৪.৮১ শতাংশ কম৷ ২০১৯ সালে ২৩৭ দিন লেনদেন হয়৷ যার গড় লেনদেন ছিল ৪৮০ কোটি ২৬ লাখ টাকা৷ অপরদিকে ২০১৮ সালে ২৪২ কার্যদিবসে মোট লেনদেনের পরিমান ছিল ১৩৩,৫৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং গড়ে লেনদেনের পরিমান ছিল ৫৫২ কোটি ০৩ লাখ টাকা৷
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের বছরের তুলনায় ৯৩২.৭১ পয়েন্ট বা ১৭.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েচে ৪৪৫২.৯৩ পয়েন্টে। ২০১৯ সালে ডিএসইএক্স মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ৫,৯৫০.০১ পয়েন্টে উন্নিত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ৪৪১৭.৯৫ পয়েন্ট৷ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ৪,০৯০.৪৭ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাত্রা শুরু হয়৷
২০১৯ সালে ডিএসই ৩০ সূচক (ডিএস৩০) ৩৬৭.৪৪ পয়েন্ট বা ১৯.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫১৩.৩৫ পয়েন্টে দাঁড়ায়৷ ২০১৯ সালে ডিএস৩০ মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ২,০৪৯.০০ পয়েন্টে উন্নিত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ১২১৭.০৪ পয়েন্ট৷ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ১,৪৭৩.০১ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাএা শুরু হয়৷
২০১৯ সালে ডিএসইএক্স শরীয়াহ্ সুচক (ডিএসইএস) ২৩২.৯৯ পয়েন্ট বা ১৮.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯৯.৮৩ পয়েন্টে। ২০১৯ সালে (ডিএসইএস)মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ১,৩৩১.৬৩ পয়েন্টে উন্নিত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ৯৮৬.৪৭ পয়েন্ট৷ ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি ৯৪১.২৮ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাএা শুরু হয়৷ ২০১৯ সালে ডিএসই’র বাজার মূলধন আগের বছরের তুলনায় ৪৭,৭৪৪ কোটি টাকা বা ১২.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকায়। ২০১৯ সালে বাজার মূলধন সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকায় উন্নিত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার কোটি৷

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪২৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged