নিজস্ব প্রতিবেদক : আমানত সুদের হার ৬ শতাংশ বা তার কম হলেই ঋণের উপর সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। এই দু’টি একে-অপরের উপর নির্ভরশীল। স্বল্প সুদে আমানত না পেলে সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ বিতরণ সম্ভব নয়। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ডাবল ডিজিটের সুপারিশ নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(বিএবি) সভা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, এসএমই খাতকে সিঙ্গেল ডিজিটের বাইরে রাখার সুপারিশ করেছিল ব্যাংকাররা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুপারিশ নাকচ করে দেয়া হয়েছে। কারণ এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মুখপাত্র আরো জানান, বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। সেখান থেকে ব্যাংকগুলোর আমানত একসঙ্গে উঠিয়ে না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভুয়া ঋণ বন্ধে জামানত সংরক্ষণের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) এর চেয়ারম্যান এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, আজকের সভায় আমাদের কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেছি। গভর্নর জানিয়েছেন সার্কুলারের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংকিং খাতের জন্য ৯/৬ সুদের হার খুবই জরুরি। তবে এক্ষেত্রে স্বল্প সুদে আমানতের বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত।
ঋণ অবলোপনের বিষয়ে আজ আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। গত দেড় বছরে ৯/৬ সুদহার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রেজা ইফতেখার জানান, গত দেড় বছরে আমাদের ব্যর্থতা প্রমাণ হয়নি। বাজারের চাহিদাই ছিল এরকম। ২ শতাংশে ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ঋণ হিসাব পুনঃতফসিলের বিষয়ে আলী রেজা ইফতেখার বলেন, এই কার্যক্রমটি পুরোপুরি ব্যাংকার ও কাস্টমার সম্পর্কের ভিত্তিতে এগুচ্ছে। ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে কোনো ঋণ হিসাব পুনঃতফসিল করবে কিনা সেটা পুরোপুরি ব্যাংকের ব্যাপার। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান
