রাইটের অর্থ ব্যবহারে ৬ মাস সময় চায় আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং

সময়: মঙ্গলবার, আগস্ট ৬, ২০১৯ ৬:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ


সালাহ উদ্দিন মাহমুদ : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাইট শেয়ারের অর্থ ব্যবহার করতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’। কোম্পানিটির রাইট শেয়ারের অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কোম্পানিটি এ সময়ে ৪৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ অর্থ ব্যবহার করতে পেরেছে। বাকি ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্থ ব্যবহারে আরো ৬ মাস সময় চেয়েছে কোম্পানিটি। ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে এ ব্যাপারে আবেদনও করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানিটি রাইট শেয়ারের ৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ৪৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ খরচ করেছে। তবে এখনো ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ বা ৫৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা খরচ করতে পারেনি। আর গত মে মাসের হিসাবে দেখা গেছে, স্পিনিং মেশিনারিজ কিনতে বরাদ্দ ছিল ৪৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে খরচ হয়েছে ২০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অবশিষ্ট রয়েছে ২৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়া ইয়ার্ন ডাইংয়ের ২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে খরচ হয়েছে ৫২ হাজার ৮২৫ টাকা। অবশিষ্ট রয়েছে ২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-কে বলেন, ‘আমরা রাইটের বাকি টাকা ব্যবহারের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সময় চেয়েছি। আমাদের মেশিনারিজ কেনার জন্য এলসি খুলতে দেরি হচ্ছে। আবার যেগুলোর এলসি হয়েছে অনিবার্যকারণবশত এখনো এর শিপমেন্ট হয়নি। তাছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সময় লেগে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাইট শেয়ারের অব্যবহৃত অর্থ এক্সিম ব্যাংকের হিসাবে জমা রয়েছে। এ তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত সুদ এসেছে ৫৮ লাখ টাকা। তহবিল থেকে প্রাপ্ত সুদের টাকা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যয় করা হবে।‘

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিএসইসির ৬২০তম কমিশন সভায় আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন (বিএমআরই) এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় কমিশন। এতে কোম্পানিটি ১:১ অনুপাতে (একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার) ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৫টি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ১০৯ কোটি ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫০ টাকা উত্তোলন করে। প্রতিটি রাইট শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা।

গত ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ সুপারিশ করে। এসময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ৭৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৫ টাকা ১৩ পয়সায়। আর ৯ মাসে (জুলাই, ১৮-মার্চ ’১৯) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৮ পয়সা। গতবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬৯ পয়সা। আর ৩ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৪ পয়সা। গতবছরের একই সময়ে আয় ছিল ২৩ পয়সা। এসময়ে কোম্পানির এনএভি হয়েছে ১৪ টাকা ৮৩ পয়সা।

‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৬.১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১২ শতাংশ শেয়ার এবং ৫১.৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৫০০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged