নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। বাজার উন্নয়নের জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু শেয়ারবাজার ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করেছেন সেহেতু সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সভাপতি শামস মাহমুদ।
গতকাল সোমবার ডিসিসিআই কার্যালয়ে দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২০ সালে ডিসিসিআইয়ের বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা জানাতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন ।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে ডিসিসিআই যে কয়টি খাতের ওপর অগ্রাধিকার দেবে তার মধ্যে শেয়ারবাজার অন্যতম। এ বছরে বন্ড মার্কেটের পলিসি উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে একদিকে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থের যোগান হবে, অন্যদিকে বন্ডে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা পাঁচ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারের সমস্যার কারণ তুলে ধরে সভাপতি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী উভয়ের মধ্যে ডে-ট্রেডিং মানসিকতা রয়েছে। বন্ড মার্কেটের অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে ভালো কোম্পানির অভাব রয়েছে।
চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবসেই বড় পতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ৪২৩ পয়েন্ট কমে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধসের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ডিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশির উদ্দিনসহ সংগঠনের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান