editorial

তহবিল বেড়েছে ৫ জীবন বীমা কোম্পানির

অলস ফেলে না রেখে সঠিক বিনিয়োগ জরুরি

সময়: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০১৯ ৬:০০:৪৮ অপরাহ্ণ


হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০১৯) জীবন বীমা খাতের ৫ কোম্পানির তহবিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এ খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি ভালো খবর। দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারের মন্দার কারণে প্রতিটি খাত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে। এক সময় যেসব খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল বেশি সেসব খাতের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়েছেন। বীমা খাতটিও ধুঁকছে একইভাবে।
আমাদের দেশে যেসব বীমা কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের মধ্যে ৪৭ বীমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। আর জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা হচ্ছে ১২টি। বীমা কোম্পানিগুলোতে তহবিল বাড়লেও এর মালিক কিন্তু কোম্পানিগুলো নয়। এর প্রধান মালিক হচ্ছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের কাছ থেকেই প্রিমিয়ামের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো মোটা অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করেন। তবে পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিনিয়োগকারীরাও মালিকানার কিছুটা অংশ পেয়ে থাকেন। তবে কোনোভাবেই বিপুল পরিমাণ এ সম্পদের মালিকানা নিজেদের দাবি করার কোনো সুযোগ নেই জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর।
আমাদের দেশে বীমা কোম্পানিগুলোর হাতে প্রচুর অর্থ রয়েছে। কিন্তু কোম্পানির সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঠিক নীতিমালা বা বিনিয়োগবিধি না থাকায় সেসব অর্থ বিনিয়োগ করা যাচ্ছে না। কেবল জমি আর ভবন ক্রয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে এটিও ঠিক যে, বিনিয়োগ উপযোগী খাতেরও সংকট রয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর তহবিল বাড়লেও বিনিয়োগের মাধ্যেমে আয় বাড়ছে না।
বীমা কোম্পানিগুলো হাতে থাকা তহবিল অলসভাবে ফেলে না রেখে সঠিক বিনিয়োগ জরুরি। এজন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে যেমন এ ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে। তেমনি মুনাফা আসবে এমন বিনিয়োগ উপযোগী খাত চিহ্নিত করতে হবে। এজন্য অবশ্যই বিনিয়োগ উপযোগী নীতিমালা থাকা জরুরি। পুঁজিবাজারে বীমা খাতের টাকা বিনিয়োগ করতে চাইলেও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা যায়। বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালকরা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে বীমা খাতের তহবিল পুঁজিবাজারে লেনদেন করছেন। তাতে বীমা তহবিলের অর্থ নিয়মিতই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্ত প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগের সুযোগ নেই।
তাই সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। কেবল তহবিল বাড়ালেই হবে না সে তহবিল অলসভাবে ফেলে না রেখে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগেরও ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাহকদের আমানতের নিরাপত্তা বিবেচনা করেই বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই অর্থনীতি গতিশীল হবে।

Share
নিউজটি ৩০৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged