আলহাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালককে অপসারণ

সময়: মঙ্গলবার, জুন ১৩, ২০২৩ ২:০৯:২২ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালককে অপসারণ করা হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটিতে নতুন করে চার স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে শেয়রবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত (০৫ জুন) কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান খন্দকার কামারুজ্জামান এবং দুই স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জিকরুল হক এবং এএফএম আবদুল মঈনকে বোর্ড থেকে অপসারণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমানের মামলার প্রেক্ষিতে তাদের অপসারণ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এদিকে, সোমবার (১২ জুন) আলহাজ্ব টেক্সটাইলের এই চার স্বতন্ত্র পরিচালকের নিয়োগের বিষয়টি ডিএসই সূত্রে জানা গেছে। এই চার স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস এর সিনিয়র ফ্যাকাল্টি সদস্য মোঃ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খান এবং নোভারিটসের কান্ট্রি সিএফও ফাহমিদ ওয়াসিক আলী। এই চার জনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারেকুজ্জামানকে পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২২ মে কোম্পানি পর্ষদ এমডি মিজানুর রহমানকে এমডি পদ থেকে বহিষ্কার করেন। তিনি কোম্পানির দ্বিতীয়তম শেয়ারধারী শেয়ারহোল্ডারহোল্ডার পরিচালকও। মিজানুর রহমান নিজ শক্তির বলে কোম্পানি সচিবকে বহিষ্কার করে।

এরপর পরিচালনা পর্ষদ মিজানুর রহমানের জায়গায় তার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তার চাচাতো ভাই বখতিয়ার রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

এরপর গত ২৫ মে বহিষ্কৃত এমডি মিজানুর ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এমডির ‘অবৈধ’বদলির বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে এবং নতুন ব্যবস্থাপনাকে ব্যাংকিং লেনদেন চালিয়ে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে কমিশন নতুন বোর্ডকে অপসারণ করেছে।

১৯৮৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি লোকসান করেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা।

২২ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি। এর মধ্যে ২৫.৬৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৭.৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৬.৪৬ শতাংশ।

 

Share
নিউজটি ২০২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged