একই সঙ্গে লাইফ ও নন লাইফ ব্যবসা করার প্রস্তাব রাষ্ট্রীয় দু’ করপোরেশনের

সময়: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৫, ২০২০ ১১:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ণ


অনুপ সর্বজ্ঞ : বীমা আইন অনুযায়ী কোন বীমা কোম্পানির একই সঙ্গে লাইফ ও নন লাইফ ব্যবসা করার সুযোগ নেই। তবে সঙ্গে এই দু’ ধরনের ব্যবসা করার প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন দু’ প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) ও জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি)। ৩ মার্চ বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ইন্স্যুরেন্স ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটি (আইডিআরএ)।

রাষ্ট্র মালিকানাধীন দু’ প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সুবিধা বঞ্চিত মানুষ, তাদের স্বাস্থ্য ও সম্পদের বীমা যোগ্য ঝুঁকি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে আইনে। তবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন দু’ প্রতিষ্ঠান যদি এই সুযোগ পায় তাহলে তাদের কর্ম পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এতে বীমার পেনিট্রেশনও বাড়বে।

বীমা আইন, ২০১০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কোন বীমা কোম্পানি নন-লাইফ ব্যবসার জন্য নিবন্ধিত হলে লাইফ ব্যবসা এবং ও কোম্পানি লাইফ ব্যবসার জন্য নিবন্ধিত হলে নন লাইফ ব্যবসা করতে পারে না।

এ প্রসঙ্গে আইডিআরএ’র সদস্য বোরহান উদ্দীন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন দু’ প্রতিষ্ঠান যে প্রস্তাব করেছে তা বীমা আইনের সাথে সংঘর্ষিক। তবে তাদের প্রস্তাবনা আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।

উল্লেখ্য, জীবন বীমা করপোরেশন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প প্রিমিয়ামে জন সাধারণের জীবন বীমা কাভারেজ দিচ্ছে । এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে যেসব কর্মী বিদেশে কাজ করতে যান তাদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা করার কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন জীবন বীমা কর্পোরেশন।

বর্তমানে পৃথিবীর নানা দেশে বাংলাদেশের যে কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে নানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তারা অনেকেই কোন রকম বীমা সুবিধা পান না। তাদের জন্যই প্রবাসী কর্মী বীমা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানাচ্ছে জীবন বীমা কর্পোরেশন। এই পলিসি’তে ৯৯০ টাকার এককালীন প্রিমিয়ামের ৫০০ টাকা দেয়া হবে ওয়েজ আর্নার কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে এবং বাকি টাকা দিতে হবে যিনি বিদেশে যেতে চান তাকে। এরপর ওয়েজ আর্নার কল্যাণ বোর্ড ঐ বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকের সকল তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে দেবে। পরবর্তিতে জীবন বীমা কর্পোরেশন ঐ অভিবাসী শ্রমিকের জন্য একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবে, যার ফলে তিনি বীমা গ্রহীতা হবেন।

এদিকে, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশেরে সকল ধরণের সাধারণ বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসা করার জন্য বীমা কর্পোরেশন আইন ১৯৭৩ (এক্ট নং ৬) এর অধীনে ১৯৭৩ সালের ১৪ মে এটি গঠিত হয়। এরপর থেকে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সাধারণ বীমা ব্যবসায় একমাত্র বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করতে থাকে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বীমা কোম্পানির অনুমোদন প্রাদান করে। বাংলাদেশের বীমা বাজারের ২০শতাংশ প্রিমিয়াম শেয়ার এর দখলে। এর অনুমোদিত মূলধন ১০০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা । সর্বশেষ অর্থবছরে এর মোট প্রিমিয়াম আয় প্রায় ৩৫১.৯২ কোটি টাকা এবং মোট রিইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম আয় প্রায় ৭৯২.৩০ কোটি টাকা।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন বাংলাদেশ, শিল্প উন্নয়ন সংস্থা এবং লিজিং কোম্পানি, জাতীয় চা কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশানাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আরামিট লিমিটেড, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো প্রতিষ্ঠানসমূহের স্পন্সর শেয়ার হোল্ডার । বাংলাদেশের সরকারি ব্যবসার ৫০শতাংশের স্বত্বাধিকারী হিসাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কাজ করে ।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪০২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged