বছরের শুরুতেই বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন

সময়: রবিবার, জানুয়ারি ৫, ২০২০ ১:১০:১৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বছরজুড়ে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। এ সময়ে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর দর বাড়লেও তুলনামূলক কম দরেই লেনদেন হয়েছে ব্যাংকের শেয়ার। বছরের শুরুতেই বাড়ছে ব্যাংকের শেয়ার দর। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুরো ব্যাংকিং খাতে, ধীরে ধীরে বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন। লেনদেন পর্যালোচনায় এমনটিই দেখা গেছে।

তথ্যমতে, চলতি বছর প্রথম সপ্তাহে মোট লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংকিং খাতের দখলে ছিল ১৩ শতাংশ। ওই সপ্তাহে এ খাতে দৈনিক মোট লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি টাকা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাংকিং খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি টাকা। এভাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বরে হিসাব বছর শেষ হয়েছে ব্যাংক- বিমা, আর্থিক খাতের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর। এসব কোম্পানি বার্ষিক হিসাব সম্পন্ন করার পাশাপাশি লভ্যাংশ ঘোষণার প্রস্তুতিও চলছে। তাই বছরের শুরুতে এসব কোম্পানি ঘিরে বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ থাকে। দীর্ঘ মন্দার কারণে এবার বিনিয়োগকারীদের মাঝে তুলনামূলকভাবে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এরপরও ব্যাংকিং খাতে লেনদেন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। এসব কোম্পানি আকর্ষনীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করলে তাদের শেয়ারে আগ্রহ আরও বাড়বে। এর ফলে বাজারে কিছুটা হলেও গতি ফিরে আসবে।

একটি ব্যাংকের সিকিউরিটিজ হাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘ মন্দার কারণে বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের সংকট রয়েছে। এ কারণে নতুন করে বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাজারে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় যদি কিছু করা যায় তাহলে বাজারে ফিরবে বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে সরকারের কাছে যে ফান্ড চাওয়া হয়েছে তা যদি ছাড় হয় তাহলে বাজার গতিশীল হতে শুরু করবে।

এ বিষয়ে ঢাকা ব্যাংক সিকিউিরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, ডিসেম্বর এলেই ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ে। তাছাড়া এবার ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও বেড়েছে, যা ইতিবাচক। যদি ব্যাংকগুলো আশানুরূপ লভ্যাংশ ঘোষণা করে তাহলে এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও বাড়বে।

চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ ছিল প্রকৌশল খাতের। ডিএসইর মোট লেনদেনে এ খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১৪ শতাংশ। আলোচ্য খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া মোট লেনদেনে বীমা এবং বস্ত্রখাতের প্রত্যেকের ১২ শতাংশ করে, ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের ১১ শতাংশ, জ্বালানি খাতের ৮ শতাংশ অংশগ্রহণ ছিল।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৬৯৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged