বিনিয়োগকারী সাইফ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা

সময়: বুধবার, অক্টোবর ৯, ২০১৯ ১০:৩৭:১৫ পূর্বাহ্ণ


সালাহ উদ্দিন মাহমুদ : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোব সিকিউরিটিজ’-এর গ্রাহক সাইফ উল্লাহ-এর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেছে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘মুন্নু জুট স্টাফলার্স’-এর শেয়ারে অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে গ্লোব সিকিউরিটিজের গ্রাহক সাইফ উল্লাহ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ধারা ১৭(ই)(২), ১৭(ই) (৪) এবং ১৭(ই) (৫) লঙ্ঘনের কারণে তার ওপর জরিমানা আরোপ করা হয়। তবে ওই জরিমানা পরিশোধ না করায় তা আদায়ের লক্ষে গ্লোব সিকিউরিটিজের গ্রাহক সাইফ উল্লাহ এর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে বিএসইসি।

‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯’-এর ধারা ২২ মোতাবেক সাইফ উল্লাহ-কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে কমিশন। এ জরিমানার কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তিনি। ‘পাবলিক ডিমান্ডস রিকভারি অ্যাক্ট ১৯৯৩’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিও হিসাবে প্রদত্ত সাইফ উল্লাহ’র মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে তিনি বিএসইসি-তে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন বলে জানা যায়। তার দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অপ্রাসাঙ্গিক এবং সঠিক নয়। কারণ আমি অত্যন্ত সরল বিশ্বাসে একজন সচেতন বিনিয়োগকারী হিসেবে মুন্নু জুট স্টাফলার্স এর শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করে কেবল মাত্র মুনাফার জন্য প্রয়াস চালিয়েছি। তাই এক্টিভ ট্রেডিং এবং সিরিজ অব ট্রান্সজেকশন করে সংশ্লিষ্ট আইন ভঙ্গের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের অর্থ বিনিয়োগের প্রধান কারণ হচ্ছে- আকর্ষণীয় মুনাফা অর্জন করা। তাই বিনিয়োগকারী কর্তৃক আইনানুগভাবে তার টেকসই মুনাফা অর্জনের চিন্তাটা দোষের হতে পারে না। তারই ধারাবাহিকতায় আমি আমার বিনিয়োগ সাজানোর চেষ্টা করেছি। এজন্য আমার ওপর আনিত অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।’
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুন্নু স্টাফলার্সের শেয়ারে অনিয়মের কারণে ৩ ব্যক্তিকে জরিমানা এবং একজনকে সতর্কপত্র ইস্যু করে কমিশন। এরমধ্যে সাইফ উল্লাহ-কে ১০ লাখ টাকা, মো. আব্দুস সেলিম-কে ৫ লাখ টাকা, মো. জিয়াউল করিম-কে ৫ লাখ টাকা, মো. আতাউর রহমান-কে সতর্কপত্র ইস্যু করা হয়। ব্যক্তিগুলোর বেশিরভাগই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ওর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (২), ১৭ (ই) (৪) এবং ১৭ (ই) (৫) লঙ্ঘন করেছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৩০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged