editorial

লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ ২৭ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা উচিত

সময়: রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০১৯ ৯:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ


দেশের পুঁজিবাজারে জুন মাসে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের মৌসুম প্রায় শেষ দিকে। দীর্ঘ মন্দা বাজারে লভ্যাংশের মৌসুমেও বাজার ঘুরে না দাঁড়ানোর কারণে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। আলোচ্য সময়ে লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ২৭ কোম্পানি। এসব কোম্পানির লভ্যাংশ গেইন থেকে বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মুনাফা করলেও গত সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দিয়ে বঞ্চিত করেছে। এসব কোম্পানির লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হওয়ার মন্দা বাজারে শেয়ার দরেও নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে গেইন করতে পারছে না।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১২ শতাংশই হচ্ছে বস্ত্রখাতের প্রতিষ্ঠান। বস্ত্রখাতে ৫৫টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বস্ত্রখাতের ভালো কোম্পানি থাকলেও পুঁজিবাজারে অধিকাংশই দুর্বল মৌলভিত্তির প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত। এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না।
বেশ কিছু কোম্পানি জুন মাসে হিসাব বছর শেষে মুনাফা অর্জন করা সত্ত্বেও লভ্যাংশ দেয়নি। এছাড়া কিছু কোম্পানি রয়েছে যা দুর্বল মৌলভিত্তির, সেসব প্রতিষ্ঠানও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। দুই ধরনের কোম্পানিই বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করেছে। কেউ ইচ্ছে করে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। কেউ প্রকৃত অর্থে ব্যবসা খারাপের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তবে যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা থাকলে তা দেয়নি, বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা পাবে। ফলে ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা থাকলেও কোম্পানিগুলো তা না দেয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে না। তাছাড়া ভবিষ্যতে আরও অনেক কোম্পানি এ সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর পাঁয়তারা করবে বলে মনে করছেন তারা।

Share
নিউজটি ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged