bangladesh bank

সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

সময়: সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২০ ১২:১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট কাটিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ চেয়েছে সরকারের নিকট প্রস্তাবনা দিয়েছে শীর্ষ ব্রোকাররা। এ ঋণ প্রস্তাবনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ প্রস্তাবের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তাদের মতামতসহ অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।
গতকাল বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
আলোচনা শেষে বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারের সার্বিক দিক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ অন্যান্যদের সঙ্গে বিএমবিএ’র নেতাদের দীর্ঘ আলাপ হয়েছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ্আন্তরিক। তারা বাজারের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার বিনিয়োগের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিবাচক বলে বিএমবিএ নেতাদের জানিয়েছেন গভর্নর। এ ঋণের বিষয়ে শিগগিরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিএমবিএ’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে প্রস্তাবিত বিশেষ তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবিত তহবিলের বিষয়ে গভর্নর তাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং শেয়ারবাজারের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর শিগগিরই বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং প্রয়োজনীয় নীতিসহায়তা দিতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এটা নির্দেশনা আকারে জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা শেয়ারবাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় আনতে সহায়তা করবে।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বিএমবিএ’র সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর শীর্ষ ব্রোকারদের একটি প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে কিভাবে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই টাকার বিপরীতে ২য় বছর থেকে ৩ শতাংশ হারে সুদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চতুর্থ বছর থেকে আসলসহ সুদ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম বছর সুদ চার্জ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই অর্থ শুধু শেয়ারবাজারের জন্য ব্যবহার করা হবে, যা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। একইসঙ্গে ওই টাকার ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। এই প্রস্তাবের বিষয়ে গত মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত চেয়ে অর্থমন্ত্রণালয় চিঠি দেয়।
সম্পাদনা: এম এ খালেক

Share
নিউজটি ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged