সরকারি কেনাকাটায় সাত বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়

সময়: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯ ৯:২৪:০০ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে কেনাকাটা করায় ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাশ্রয় হয়েছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘অ্যাসেসমেন্ট অফ বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম (সরকারি তহবিলের অর্থে কেনাকাটা) অনুসরণ করায় ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে ক্রয় করার সময়ও কম লাগছে। আগে যেখানে গড় সময় লাগতো ৯৪ দিন, এখন তা কমে ৫৯ দিনে নেমে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়। বাকি ৭০ শতাংশ প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ সব সূচকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দেশে শতভাগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। নিরাপত্তাসহ সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে ব্যবসা করার ভালো পরিবেশ রয়েছে।’

প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সুশাসন চাই। সার্বিক উন্নতি হলে সুশাসন সম্ভব হবে। যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সেখানে সংস্কার করা হবে।’

এছাড়া ৭০ ভাগ প্রকল্প সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারাকে ভয়ঙ্কর বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা সমাধান করতে হবে। আমরা জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। সরকার কোনো কিছ্ ুনিয়ে লুকোচুরি করবে না। সব কাজ জনগণের নজরে আসুক। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রতিটি কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়ন টেমবন বলেন, ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্টে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংক খুশি।’ এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি-বেসরকারি উভয় সেক্টরের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ৭০ ভাগ প্রকল্প সময়মতো শেষ হয় না। যেকোনো মূল্যে প্রকল্পের কাজ সময়মতো শেষ করা খুবই প্রয়োজন।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সিদ্দিকী ও প্যাটেল আরমিন তৃপ্তি।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩০১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged