নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামি ২৩ জুলাই এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ভার্চুয়ালি লটারি করার অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিটির আইপিও ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে।
এদিকে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারীর আইপিওতে আবেদন করেছে। আর আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিশ্চিত করে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) কেএম সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, কোম্পানির আইপিওতে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এজন্য আগামি ২৩ জুলাই ভার্চুয়ালি লটারি করার অনুমোদন চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করেছি। আর আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এবং ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী আবেদন করেছে।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করার জন্য দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন জানিয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
এদিকে গত ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের পুনর্র্নিধারিত সময় শেষ হয়। তবে এই সময়কে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে দেয় বিএসইসি।
কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।
এর আগে করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের শেয়ারবাজার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারনে আবেদন গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।
উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইএসএস শুরুর পূর্বের ৫ম কার্যদিবস শেষে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান