নিজস্ব প্রতিবেদক : করপোরেট কর বাড়ছে শেয়ারবাজার বহির্ভূত এবং ২০১৩ সালের পরে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯ ব্যাংকের। আট বছর সময় দেওয়ার পরেও যারা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি এখন থেকে ৪০ শতাংশ করপোরেট কর গুনতে হবে তাদের। পাশাপাশি ২০১৩ সালের পরে কার্যক্রম শুরু করা ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও ৪০ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে। দেশে বর্তমানে মোট ৬০টি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের মেয়াদে ২৪টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন পায়। ২০১৩ সালে অনুমোদিত নয়টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি দেশীয় উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন। সেগুলো হলো- মেঘনা, মধুমতি, মিডল্যান্ড, পদ্মা (ফারমার্স ব্যাংক) ইউনিয়ন ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক। এছাড়াও তিনটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন এনআরবি, এনআরবি গ্লোবাল ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।
এতদিন পর্যন্ত (২০১৯-২০ অর্থবছর) বিশেষ ছাড়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট কর দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছিল ব্যাংকগুলো। তবে নতুন বাজেটে সেই সুযোগ তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে কোনো পরিবর্তন না এলে শেয়ারবাজারের বাইরে থাকায় এসব ব্যাংকে ৪০ শতাংশ কর দিতে হবে।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংকসহ বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান করপোরেট কর হবে ৪০ শতাংশ। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য এই হার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এর ফলে কোন সংশোধনী ছাড়াই প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া নয়টি নতুন ব্যাংকে ৪০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হবে।
এরপরেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্ত ব্যাংক ও পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে। সবশেষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল, পিপলস ও সিটিজেন ব্যাংককে। তবে এই ব্যাংক তিনটি এখনো কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে অনুমোদিত ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত ছিল তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া। কিন্তু আট বছর পেরিয়ে গেলেও ব্যাংকগুলোর কোনটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। তবে কোন কোন ব্যাংক এ মুহূর্তে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। যদিও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেই কেবল কমবে তাদের করপোরেট কর।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান