ঋণ পরিশোধে আবারও বিশেষ ছাড়, ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যাংক খাতে

সময়: সোমবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২১ ২:৪৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : খেলাপি ঋণ কমাতে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধে আবারও বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছর মাত্র ২৫ শতাংশ পরিশোধ করে নিয়মিত দেখানো ঋণের বিপরীতেও পুরো সুদ আয় খাতে নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত দেখানো এ ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ব্যাংকের মুনাফা বেড়ে যাবে। সুতরাং এটাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে ব্যাংকগুলো। নতুন নির্দেশনার ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফা করা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তারা (সিএফও) ।

প্রসঙ্গত: সাধারণভাবে বিতরণকৃত ঋণের পুরো টাকা আদায় না হলে তা খেলাপি হয়ে যায়। সুদও আয় খাতে নেয়া যায় না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলো কোনো একক গ্রাহকের কাছ থেকে ২০২১ সালে যে সুদ আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে, তার ২৫ শতাংশ যদি আদায় করতে পারে, তাহলে ওই গ্রাহকের কাছ থেকে সুদ বাবদ পাওয়া অর্থের পুরোটাকে আয় হিসাবে দেখাতে পারবে।

বিদ্যমান নিয়মে কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে লক্ষ্যের শতভাগ ঋণ আদায় হলেই তখন পুরো সুদকে আয় হিসাবে দেখাতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওইদিনই তা ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিশেষ ছাড়ের কারণে চলতি বছর শেষে ব্যাংকগুলোর বড় ধরনের মুনাফা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সুবিধা নিতে বাড়তি ২ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের বার্ষিক আর্থিক হিসাব চূড়ান্তের সময় ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা মানতে হবে। চলতি ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর আর্থিক বছর শেষ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত একজন গ্রাহকের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধের সূচি ছিল, তার ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে ওই গ্রাহককে আর খেলাপি করা যাবে না। পাশাপাশি ওই গ্রাহক থেকে যে পরিমাণ সুদ পাওয়া যাবে, তা ব্যাংকগুলো আয় হিসাবে দেখাতে পারবে। তবে ঋণ আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আদায় না হলে সেই গ্রাহককে ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে, সুদও আয় খাতে নেয়া যাবে না।

এছাড়া এই সুবিধা নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ নিরাপত্তা সাধারণ সঞ্চিতি রাখতে হবে। সাধারণত সব ঋণের ওপর ব্যাংকগুলোকে ১ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হয়। আর নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যেসব ঋণ এর মধ্যে নগদ আদায়ের মাধ্যমে সমন্বয় হয়েছে, তার বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি থেকে ১ শতাংশ আয় হিসাবে দেখানো যাবে।

Share
নিউজটি ৩০৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged