শিগগিরই মার্কেটের সাইজ অনেক বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

সময়: শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ৬:৩৯:১৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম বলেছেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কেবল বাংলাদেশি পণ্য না, বিদেশি পণ্য কেনাবেচা হবে। কৃষকের ধানও এই মার্কেটে কেনাবেচা হবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আর এই সফটওয়ার কিনতে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ কোটি টাকা লাগবে, আর একটু ভালো সফটওয়্যার যদি কিনতে চাই তাহলে লাগবে সোয়া ৪০০ কোটি টাকা। আমরা এত বড় প্রকল্প নিযে কাজ করছি, শিগগিরই এগুলো শুরু হলে মার্কেটের সাইজ অনেক বাড়বে।

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হোটেল ওয়েষ্টিনে সিএমজেএফ ও বিএমবিএ যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ)সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরেই ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হবে। এতে করে শেয়ারবাজারের গ্রোথ অনেক বেড়ে যাবে। যা জিডিপিতে বড় অবদান রাখবে। এছাড়াও কিছুদিন পর আমরা সব ধরণের বন্ডের ট্রেড শুরু করবো, তখন মার্কেট গ্রোথ ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কোন দেশের সঙ্গে তুলনা করতে হলে, প্রথমে সেই দেশের সার্বিক অবস্থার দিকে তাকাতে হবে। তারপরও বিভিন্ন দেশেই খারাপ কিছু কোম্পানিও তালিকাভুক্ত হয়, একটা সময় টিকে থাকতে না পেরে তালিকাচ্যুতও হয়।

তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারে বন্ধ থাকা ১৮টি কোম্পানি ইতোমধ্যে পুনরায় চালু হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর ব্যাংকের যে ঋণ ছিলো সেগুলো পরিশোধের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতে করে ব্যাংকগুলো লাভবান হয়েছে। এছাড়াও এনবিআরও লাভবান হবে কারণ এখান থেকে বড় একটা টেক্স পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে এনবিআরের সহযোগিতাও আমাদের প্রয়োজন।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কেবল বাংলাদেশি পণ্য না, বিদেশি পণ্য কেনাবেচা হবে। কৃষকের ধানও এই মার্কেটে কেনাবেচা হবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আর এই সফটওয়ার কিনতে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ কোটি টাকা লাগবে, আর একটু ভালো সফটওয়্যার যদি কিনতে চাই তাহলে লাগবে সোয়া ৪০০ কোটি টাকা। আমরা এত বড় প্রকল্প নিযে কাজ করছি, শিগগিরই এগুলো শুরু হলে মার্কেটের সাইজ অনেক বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটকে যত বেশি সহায়তা দেয়া হবে দেশের টেক্স আদায় তত বেশি বাড়বে। ভালো কোম্পানিগুলোকে যদি শেয়ারবাজারে আনা হয়, তাহলে কোম্পানিগুলো ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারবে না।

আমাদের মিউচুয়াল ফান্ডের বর্তমান অবস্থা খুবই ভালো, তারাও ভালো ডিভিডেন্ড দিতে শুরু করছে। ফান্ডগুলো ডিভিডেন্ড না দিলে তাদের ডেকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমানের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান সিএফএ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের চেয়ারম্যান সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খায়রুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো: জাহিদ হাসান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, সিএফএ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডনার শাহীন ইকবাল, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ এফসিএমএ, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ বাংলাদেশ (আইসিএসবি) এর প্রেসিডেন্ট মোজাফফর আহমেদ এফসিএমএ এফসিএস, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর কাউন্সিল সদস্য গোপাল চন্দ্র ঘোষ।

 

Share
নিউজটি ৩০২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged