৯ কোম্পানির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি খতিয়ে দেখবে সিএসইসি

সময়: মঙ্গলবার, আগস্ট ১০, ২০২১ ২:৩২:০২ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারের চাঙ্গাভাব ধরে রাখতে এবং বাজারের ধস ঠেকাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজারে অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ার কারণে ৯টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কোম্পানিগুলো হলছ- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জিবিবি পাওয়ার, এমারেল্ড অয়েল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ঢাকা ডায়িং, ফুয়াং সিরামিক ও বিকন ফার্মা। সাম্প্রতিক সময়ে এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত গঠন করেছে বিএসইসি। আজ মঙ্গলবার সকালে তদন্ত সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমানকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের প্রধান মইনুল হক।

কমিটিকে কমিশনে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৬০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ, আলোচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমারেল্ড অয়েল, ন্যাশনাল ফিড মিল, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও ঢাকা ডায়িংয়ের উৎপাদন মাঝখানে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তারপরও গত ৬ মাসে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ৫ থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।

তিন বছর আগেও বিকন ফার্মা তার উৎপাদনক্ষমতার বেশিরভাগ ব্যবহার করতে পারতো না। কারণ বাজারে এর উৎপাদিত ওষুধের ওই পরিমাণ চাহিদা ছিল না। তাই কোম্পানিটি তার কারখানায় নিজেদের ওষুধের পাশাপাশি ভাড়ায় স্কয়ার ফার্মার ওষুধ তৈরি করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। তবে গত ২ বছরে কোম্পানিটির আয় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আয় ৩৬ শতাংশ বাড়লেও শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৮০০ শতাংশ।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged