নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক লভ্যাংশ সীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ ব্যাংকের লভ্যাংশে সংশোধনী আনতে হবে। ব্যাংকগুলো হলো- ইস্টার্ন ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক। সোমবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ সীমা নির্ধারণ করে দেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ২.৫% ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১২.৫০% বা তার বেশী মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫% নগদসহ মোট ৩০ % ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। তবে যেসব ব্যাংক এরইমধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কিন্তু এই শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়নি, সেসব ব্যাংককে সংশোধনীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই শর্ত পরিপালনে ইস্টার্ন ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লভ্যাংশে সংশোধনী আনতে হবে। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংকের পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ, উত্তরা ব্যাংক ৩৫ শতাংশ (১০ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ বোনাস), এনসিসি ব্যাংক ১৭ শতাংশ নগদ এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারের শর্ত অনুযায়ী এই ৪ ব্যাংককে তাদের ঘোষিত লভ্যাংশে সংশোধনী আনতে হবে।
শর্ত পরিপালনে ইস্টার্ন ব্যাংকের ঘোষিত ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশকে ১৫ শতাংশ নগদে নামিয়ে আনতে হবে। এছাড়া উত্তরা ব্যাংকের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশকে ৩০ শতাংশে, এনসিসি ব্যাংকের ১৭ শতাংশ নগদকে ১৫ শতাংশ নগদে ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩০ শতাংশ নগদকে ১৫ শতাংশ নগদে নামিয়ে আনতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১১.২৫% হতে ১২.৫০% বা তার বেশী মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫% নগদসহ মোট ১৫ % ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করা হলে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১১.২৫% বা তার বেশি থাকে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫% নগদসহ মোট ১০ % ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে এবং প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করা হলে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১১.২৫% এর কম কিন্তু ন্যনতম সংরক্ষিত মূলধন ১০% হবে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫% স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান