যে কারণে বাতিল হলো এমবি ফার্মার স্টক ডিভিডেন্ড

সময়: সোমবার, জানুয়ারি ২, ২০২৩ ১:৩৩:৫৪ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩০ জুন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার জন্যই স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির স্টক ডিভিডেন্ড বাতিল করে দিয়েছে। যার ফলে কোম্পানিটির মূলধন বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেছে।

জানা যায়, এর আগে এমবি ফার্মা যখন স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল, তখন ডিএসইর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে বিএসইসির প্রজ্ঞাপনের শর্ত পরিপালন না করেই কোম্পানিটি স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ডিএসই বলেছে, টানা দুই বছর তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি ন্যূনতম ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়া সে কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারে না।

কিন্তু কোম্পানিটি গতবছর ২০২১ সালে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিটি শর্ত অনুসারে বিএসইসির পূর্বানুমতি ছাড়াই স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে।

ডিএসইর এমন ব্যাখ্যা এবং ডিভিডেন্ড ঘোষণা সংক্রান্ত আইন প্রতিপালন না করায় কোম্পানিটির স্টক ডিভিডেন্ডে বিএসইসি সায় দিতে পারেনি।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের অর্থবছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ৪২ পয়সা।

আলোচ্য বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৬ পয়সায়। আগের অর্থবছর শেষে যা ছিল ১৮ টাকা ৬৮ পয়সায়।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২০ পয়সায়।

১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ২৪ লাখ। যার মধ্যে উদ্যেক্তাদের কাছে রয়েছে ৭৭.২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩.৭৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯.০১ শতাংশ শেয়ার।

 

Share
নিউজটি ১৪৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged