সুরক্ষা তহবিল সম্পর্কে বিস্তারিত নথি জমা দিতে নির্দেশ

সময়: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ৫:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: গত (২৮ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুরক্ষা তহবিল সম্পর্কে বিস্তারিত নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

জানা যায়, শেয়ারবাজারে বহুল আলোচিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের দাবি আদায় করতে পারেনি।

কেন ডিএসই বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল থেকে প্রতারিত বিনিয়োগকারীদের দাবি পরিশোধ করেনি তা জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ডিএসই বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে তমহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ, বানকো সিকিউরিটিজ এবং শাহ মোহাম্মদ সগির অ্যান্ড কোম্পানি নামে চারটি ব্রোকারেজ হাউজ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধাভোগী মালিকেরা বিনিয়োগকারীদের (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছিল।

তাই বিএসইসি এই ব্রোকারেজ হাউসের প্রতারিত গ্রাহকদের দাবি সুরক্ষা তহবিল থেকে অর্থ দিয়ে নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেছেন, তহবিলের মাত্র ১৯ কোটি টাকা রয়েছে।

তবে ডিএসই এখনও তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের দাবি পরিশোধ করতে পারেনি।

গত জুন মাসে বিএসইসি ডিএসই বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।

সুরক্ষা তহবিলে যে অর্থ থাকার কথা ছিল তা সেখানে জমা করা এবং সুরক্ষিত করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ওই কমিটিকে ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি বলেন, যেহেতু তহবিলটি পর্যালোচনাধীন রয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিএসই বিনিয়োগকারীদের কোনো দাবি নিষ্পত্তি করবে না।

তদন্ত শেষে স্টক এক্সচেঞ্জ বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবে।

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এ বিষয়ে ডিএসইর কাছে নথি চেয়েছি।

কমিশন যদি তহবিল নিয়ে কোনো অসঙ্গতি খুঁজে পায়, তাহলে এই বিষয় নিয়ে উদ্যোগ নেবে।

বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলটি ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ব্রোকারেজ হাউজগুলির কোনও খেলাপি হলে, তহবিল থেকে অর্থ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তহবিলটি তৈরি করা হয়েছিল।

 

Share
নিউজটি ৯১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged